-->
শিরোনাম

ফুলবাড়ীর চালের বাজারে ফিরছে স্বস্তি

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
ফুলবাড়ীর চালের বাজারে ফিরছে স্বস্তি
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতার এই বাজারে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ভোক্তাদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে চালের দাম। ফুলবাড়ীতে প্রতি বস্তা (৮৪ কেজি) চালে প্রকার ভেদে দাম কমেছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। নতুন চাল ওঠায় এই দাম ধীরে ধীরে কমে আসছে। সোমবার পৌর বাজারের পাইকারি ও খুচরা চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
 
সরেজমিনে পৌরবাজারে দেখা যায়, বাজরের খুচরা চাল ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জাতের চালের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন। ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
 
প্রবীণ চাল ব্যবসায়ী জয় প্রকাশ গুপ্ত বলেন, চিকন চাল প্রতি বস্তায় (৮৪ কেজি) ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কমেছে। চিকন চালের মধ্যে বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতিবস্তা সাড়ে তিন হাজার থেকে তিন হাজার ৭০০ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে। মোটা চালের দাম কমেছে বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। চিকন চালের দাম আরো কমতে পারে বলে জানান তিনি।
 
আরেক ব্যবসায়ী পুনা প্রসাদ বলেন, নতুন চাল বাজারে আসায় দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৩ টাকা এবং চিকন চাল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
 
সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, দেশে সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতার মধ্যেও অতি প্রয়োজনীয় চালের দাম কমাটা ভোক্তাদের জন্য সুখবর। বিশেষ করে স্বল্পআয়ের পরিবারের জন্য এটি আনন্দের সংবাদ বলা চলে। চালের দাম কমে যাওয়ায় ভোক্তাদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি।
 
স্কুলশিক্ষক ধীমান চন্দ্র সাহা বলেন, ঈদের আগে রঞ্জিত জাতের চিকন চাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা দরে কিনেছেন। এখন দাম কমায় তিনি ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দাম বৃদ্ধির অসুস্থ প্রতিযোগিতায় অংশ না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।
চাল ব্যবসায়ী প্রদীপ কুমার বলেন, ‘আমরা খুচরা চাল বিক্রেতারা দাম বাড়াই না। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে, খুচরা বাজারে এমনিতেই বেড়ে যায়। এখন নতুন চাল বাজারে ওঠায় দাম কমেছে।
 
‘বর্তমানে ক্ষেতের ইরি (বোরো) ধানকাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এ সময় প্রায় প্রতি বাড়িতেই কমবেশি ধান উঠছে। কৃষি শ্রমিককেরাও ধানকাটা মাড়াইয়ে কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় বাজারে কম আসছেন। এ কারণে সকালের দিকে চালের ক্রেতা কমে গেছে। তবে সন্ধ্যা দিকে ক্রেতার সংখ্যা কিছু বেড়ে যায়’, বলেন প্রদীপ কুমার।

 

মন্তব্য

Beta version