-->

টাঙ্গাইলে ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলে ঝড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান , মসজিদসহ পাঁচ শতাধিক কাঁচা ও আধা-পাকা ঘরবাড়ি বিধবস্ত হয়েছে। শনিবার ভোরে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। গাছের চাপায় স্কুলছাত্রীসহ একই পরিবারের তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আহতরা হলেন, উত্তর খিলগাতি গ্রামের আতাউর রহমান খান (৭০), তার ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম (৪৫) এবং নাতি এম.কে.ডি.আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী রিয়া (১৩)।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর- পূর্ব দিক থেকে হঠাৎ প্রচণ্ড বেগে আসা ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে উপজেলার দেউলাবাড়ি ইনিয়নের দেউলাবাড়ি, উত্তর খিলগাতি ও মূখ্য গাংগাইর, সংগ্রামপুর ইউনিয়নের বোয়ালী হাটবাড়ি, রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর , ঘোনার দেওলী ও লক্ষীন্দর ইউনিয়নের লক্ষীন্দর , মুরাইদ, চারিয়াবাইদ ও ফৈটামাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি হয়।

রসুলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন বলেন, মেম্বারদের নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তালিকা প্রস্তুত করছি। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নেও ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেউলাবাড়ি ইউনিয়নের এম.কে.ডি. আর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭০ হাত করে ২টি টিনশেড বিল্ডিং বিধ্বস্ত ও আরেকটি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে।

প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হায়দার আলী দাবি করেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়টির প্রায় ৪০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের ঘর ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করানো হুমকির মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসন দিতে না পাড়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান করানো হচ্ছে।

শারীরিকভাবে অক্ষম সামাদ আকন্দ জানান, তার স্ত্রী সালেহা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। তারা দিন এনে দিন খান। তার একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে আছে। সর্বনাশা ঝড় তাদের সব কেড়ে নিয়েছে। সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তাদের রাতে থাকার ঠাঁই মিলবে না।

এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেউ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন না করায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউএনও মুনিয়া চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হকের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘৪টি ইউনিয়নে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নামের তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রস্তুত করার কথা বলেছি এবং সে অনুযায়ী তরা কাজ করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পরিদর্শনে যাবো।’

মন্তব্য

Beta version