-->
শিরোনাম
কুড়িগ্রামে মাসহ ৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা

মৃত্যুর আগে হত্যাকারীর নাম লিখতে চেয়েছিলেন হাফসা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
মৃত্যুর আগে হত্যাকারীর নাম লিখতে চেয়েছিলেন হাফসা
হাফসা আকতার (বায়ে) ও শিশু হাবিব

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে হাবিব নামে পাঁচ মাসের এক নবজাতকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় শিশুটির মা হাফসা আকতারকে (২৫) প্রথমে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। শনিবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর হাজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মৃত হাবিব ও তার মা হাফসা নতুনবন্দর এলাকার সাহেব আলীর স্ত্রী। নিহতের ভাইয়ের ধারণা, তার বোনকে প্রতিবেশী জফিয়াল হত্যা করতে পারে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সাহেব আলীর সম্পৃক্ততাও থাকতে পারে। মরদেহ পাওয়ার পর তারা মামলা করবেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে নতুনবন্দর হাজিপাড়া এলাকায় একটি পুকুর পাড়ের পূর্বপাশের ধানক্ষেত থেকে চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে শিশুটির মরদেহ ও পাশেই শিশুটির মা হাফসাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে পুলিশ, স্থানীয়রা ও পরিবারের লোকজন হাফসাকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করায়।

শিশুটির মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে বিকেলে নিয়ে যায় রৌমারী থানা পুলিশ।

নিহতের ভাই হাসেনুর বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে হাফছার সঙ্গে তার স্বামীর বনিবনা হচ্ছিল না। এজন্য হাফছা বেশির ভাগ সময় তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। জন্মের পর তার সন্তান অসুস্থ্য থাকায় তার স্বামী খুব একটা খোঁজ খবরও নিতেন না।

‘হাফছা মৃত্যুর আগে তার হত্যাকারীর নাম বার বার লেখার চেষ্টা করলেও হাত দিয়ে কলম ধরে রাখতে পারছিল না। আমার বোন ও তার শিশু সন্তানকে জফিয়াল হত্যা করেছে বলে আমাদের সন্দেহ। এ ঘটনায় তার স্বামীরও ইন্ধন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। বোনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছার পর আমরা জফিয়াল ও শাহের আলীর বিরুদ্ধে মামলা করবো’, বলেন হাসেনুর।

রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মাও মারা যায়। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মন্তব্য

Beta version