-->
শিরোনাম

বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার শঙ্কা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাড়ছে যমুনার পানি, বন্যার শঙ্কা

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুধুমাত্র ১২ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ২৪ সেন্টিমিটার। এতে করে আগাম বন্যার শঙ্কায় রয়েছেন জেলার মানুষেরা।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান জানান, সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ এলাকায় পানির বিপদসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। শনিবার সকাল ৬টায় পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১৬ সেন্টিমিটার। গত ১২ ঘণ্টায় ২৪ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপদসীমার এক দশমিক ১৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হাসানুর রহমান বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষাবাঁধ এলাকায় যমুনার পানি ২৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।’

এদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিন সিরাজগঞ্জের চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ডুবে গেছে ফসলি জমি। কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে না পেরে হতাশায় কৃষকরা। তীব্র স্রোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

বিশেষ করে কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও এনায়েতপুরে ভাঙনের তীব্রতা বেশি। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।

শিমলাবারী বাসিন্দা চাঁন মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার তিল, পাট ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। আমার প্রতিবেশীদের অনেকেরই ধান ও বাদাম ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।’

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা হামিদা খাতুন বলেন, ‘এ রকম পানি বৃদ্ধি কোনো বছরেই আমি দেখিনি। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সবকিছু ডুবে গেছে। কোনো ফসল ঘরে তুলতে পারিনি।’

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যমুনা নদীতে পানি বাড়ার কারণে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। কিছু স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।’

মন্তব্য

Beta version