-->
শিরোনাম
সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প-২ জটিলতা

বর্ধিত মেয়াদেও শেষ হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ

রিপন দাস, বগুড়া
বর্ধিত মেয়াদেও শেষ হয়নি ভূমি অধিগ্রহণ

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ ও নিরাপদের পাশাপাশি অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে উত্তরাঞ্চলে চার লেন সড়ক উন্নয়নের প্রকল্প শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পের কাজে এরই মধ্যে নকশা পরিবর্তন ও উপকরণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধিসহ সময় বাড়ানো হয়েছে আরো তিন বছর চার মাস।

২০১৯ সালের জুনে নির্মাণকাজ শুরু হলেও রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিসহ অন্যান্য অবকাঠামো অপসারণে বিলম্ব হওয়ায় পিছিয়ে পড়ে সড়ক নির্মাণের কাজ। তবে এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কারণে রাস্তার কাজ পিছিয়ে পড়লেও আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ হবে পুরো কাজ।

অন্যদিকে প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, পাথরের অভাবে কাজ বন্ধ হয়ে আছে অনেক এলাকায়। আর বর্তমানে কাজ চলমান রাখতে ১১ হাজার টন বিটুমিনের প্রয়োজন, কিন্তু আছে মাত্র ৬০০ টন। এদিকে বগুড়ার টিএমএসএস ও মহাস্থান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী এবং সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুলে জমি অধিগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি।

মহাস্থান ওভারপাসের সঙ্গে দোতলা ভবনসহ জমি এখনো অধিগ্রহণ করেনি সড়ক বিভাগ। তবে জমি দিতে কোনো বাধাও নেই। কিন্তু কী কারণে এখনো এ জমি নেওয়া হচ্ছে না তা জানেন না বগুড়ার মহাস্থানের মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘কয়েকবার অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো কিছু জানা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যখন জমি নেওয়া হবে তখন জানানো হবে।’

পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য ৬০ ফুট প্রশস্ত চার লেন সড়ক নির্মাণের পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহনের জন্য আরো দুই লেনসহ ছয় লেনের কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুনে। কিন্তু মহামারি করোনায় স্থবির হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নানা কারণে এ প্রকল্পের কাজ ১০ শতাংশ কম হয়েছে। কাজের অগ্রগতি নিয়ে সচিবের সঙ্গে কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে জানানো হয়, সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের কাজ এখনো বাকি ৫০ শতাংশ।

মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ সেতুগুলোর নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। এ ছাড়াও বেশিরভাগ ওভাসপাসসহ উড়াল সড়কের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। তবে বগুড়া অংশের মির্জাপুর, শেরপুরের গাড়িদহ, শাজাহানপুরের বি-ব্লকসহ বগুড়া সদর এলাকার তিনমাথা ও চারমাথায় কাজ চলছে ধীরগতিতে।

সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ২-এর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘রংপুর অংশে সড়ক নির্মাণের কাজ অনেক এগিয়েছে। আর বগুড়া এলাকায় কাজ দ্রুত চলছে। তবে বগুড়ার মহাস্থান, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীতে এখনো জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। তবে এসব সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই চার লেনের সুবিধা পাবেন সবাই।’

সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক)-২ সড়ক সংযোগ প্রকল্পে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুরের মডার্ন মোড় পর্যন্ত ১৯০.৪০ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা। তবে এটি বাস্তবায়নে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে আরো চার হাজার সাত কোটি টাকা।

বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মিয়ানমার, শ্রীলংকা. থাইল্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) এবং এশিয়ান হাইওয়ে ও সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজিওনাল কো-অপারেশন (সার্ক) অন্তর্র্ভুক্ত দেশের সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ত্বরান্বিত করতে এ প্রকল্পের কাজ শুরু করেছে সরকার।

মন্তব্য

Beta version