সিলেটে ভয়াবহ বন্যার পানি নামার দুই সপ্তাহ যেতেই ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আবারো বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃষ্টির কারণে সিলেটের নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। লাগাতার বৃষ্টি হলে নদনদীর পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা পাউবোর।
গত মাসে সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়ে যায় সিলেটে। ১১ মে থেকে সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় নগরের বেশিরভাগ এলাকাসহ জেলার ১২টি উপজেলা।
এই বন্যার ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি সিলেট। বন্যায় বিপর্যস্ত হয় মানুষের জীবন। ভেসে যায় খামারের মাছ, ভেঙে যায় সড়ক, বাঁধ, ঘরবাড়ি। ক্ষতি হয় শত শত কোটি টাকার। এখনো জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া গেল।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে চলতি মাসে স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ভারী বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল, উত্তর মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার তাপ প্রবাহ বয়ে যেতে পারে এ মাসে।’ এদিকে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, লোভা ছড়া নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমদ বলেন, সুরমা নদীর কানাইঘাট সীমান্তে বৃহস্পতিবার ছিল ১১ দশমিক ০৮ মিটার, শুক্রবার বিকেল ৩টায় ১২ দশমিক ০৩ মিটার, সুরমার সিলেট সীমান্তে বৃহস্পতিবার ছিল ৮ দশমিক ৯১ মিটার আর শুক্রবার বিকেলে ৯ দশমিক ৫১ মিটার।
কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ সীমান্তে বৃহস্পতিবার পানি ছিল ১৩ দশমিক ০২ মিটার ; শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬৫ মিটার। একই নদের শেওলা ও শেরপুর সীমান্তের পানি বেড়েছে। এছাড়া সারি ও লোভা নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে।
লাগাতার বৃষ্টি হলে পানি দ্রুত বাড়বে বলে আশঙ্কা করেছেন পাউবোর এ কর্মকর্তা।
মন্তব্য