-->
শিরোনাম

বজ্রপাতে দুই জেলায় সাতজনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
বজ্রপাতে দুই জেলায় সাতজনের মৃত্যু

দুই জেলায় বজ্রপাতে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ছয় জন।

ময়মনসিংহ সদরের নান্দাইল উপজেলায় কৃষকসহ পাঁচজন ও সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ডসহ দুইজন নিহত।

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দড়ি কুষ্টিয়া ইউনিয়ন ও নান্দাইলের গাঙ্গাইল ইউনিয়নে নিহতরা হলেন- আবু বক্কর (৪০), জাহাঙ্গীর আলম (৩০), সাঈদ মিয়া (১২), হাদিস মিয়ার ছেলে স্বাধীন মিয়া (১১) ও শাওন (৮)।

নিহতদের মধ্যে আবু বক্কর ও জাহাঙ্গীর আলম পেশায় কৃষক। ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ তাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে গাঙ্গাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশাদুজ্জামান নয়ন তিন শিশুর মৃত্যুর ‍বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, দুপুরের পর বৃষ্টির সময় ওই তিন শিশু স্থানীয় একটি বিলে মাছ ধরা দেখতে গিয়েছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে ওই তিন শিশু গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে দুইজনকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একজনকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলায় পৃথক দুটি বজ্রপাতে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর সিকিউরিটি গার্ডসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।

উপজেলার সায়দাবাদ ইউনিয়নের শিল্পপার্ক এলাকা ও যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি এলাকার মাঝ যমুনাতে বজ্রপাতে মৃত্যুর এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের শিল্পপার্ক এলাকার জাহাঙ্গীর আলম খানের ছেলে সিকিউরিটি গার্ড নাসির উদ্দিন ও দুর্গম চরাঞ্চল কাওয়াকোলা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের দরবেশ আলী মুন্সীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক মুন্সী (৪৫)।

এসময় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুই জন ছাড়া বাকিদের নামপরিচয় জানা যায়নি।

পরিচয় পাওয়া আহত দুইজন হলেন- একডালা মহল্লার সাইফুল ইসলাম (৩৫) ও শামীম (৩২)। তাদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, দুটি স্থানে বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত বাকিরা যমুনার চরাঞ্চলের শ্রমিক হলেও তাদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য

Beta version