-->
শিরোনাম

পদ্মা সেতু অনুষ্ঠান: এমপির কাছে লঞ্চ চেয়ে নেতা বহিস্কার!

বরগুনা প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু অনুষ্ঠান: এমপির কাছে লঞ্চ চেয়ে নেতা বহিস্কার!

বরগুনা এমপির কাছে পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে যেতে লঞ্চ দাবী করায় বাকবিতন্ডায় আওয়ামী লীগের এক নেতাকে লাঞ্ছিত ও বহিস্কার করার অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (১৯ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা।

বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মো. গোলাম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদার।

তিনি বরগুনার বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

তিনি জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনকে গালমন্দ করার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শুক্রবার (১৭ জুন) উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাব্বির ফেরদৌসকে দল থেকে আজীবনের জন্যে বহিষ্কার করা হয়।

এদিকে, ফেরদৌস তালুকদারের অভিযোগ, শুক্রবার বিকালে বামনা উপজেলা আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাওয়ার প্রস্তুতি সভা করে।

সভায় তিনিসহ দলীয় নেতাকর্মীরা বরগুনা-২ আসনের তিন উপজেলার (পাথরঘাটা, বামনা ও বেতাগী) জন্য ৩টি লঞ্চের প্রস্তাব করলে এমপি তিন উপজেলার জন্য ২টি লঞ্চে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। এনিয়ে এমপি ও তার মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

ফেরদৌস তালুকদার আরো বলেন, ' এই সংসদ সদস্য কখনোই আওয়ামী লীগ বান্ধব না। দলীয় নেতা-কর্মীদের থেকে তার কাছে জামাত-বিএনপির গুরুত্ব বেশি।'

তিনি আরো বলেন, 'ভরা মজলিসে আমাকে অশ্রাব্য গালাগালিও শুরু করলেন তিনি, আবার তার নির্দেশেই করা হলো বহিষ্কার। কার কাছে বিচার চাইব। জমি দখল, দলীয় নেতা-কর্মীদের মারধর, বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষ ও নারীদের ফোন করে অশ্রাব্য গালাগালিসহ হুমকি-ধামকি দেয়া তো তার নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।'

এব্যাপারে জানতে বরগুনা-২ আসনের সাংসদ শওকত হাসানুর রহমান রিমনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কাউকে বাদ দেওয়ার ক্ষমতা জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ রাখেনা। সে যদি এমপির সাথে অশোভন আচরণ করে থাকে তার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

Beta version