খুলনা জেলায় কোরবানির উপযোগী প্রায় ২৪ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৯৫ হাজার ৫৬৯টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে, যা জেলার মোট চাহিদার চেয়ে ৪০ হাজার বেশি। তাই খুলনায় আসন্ন ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই।
গত রোববার খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির জুন মাসের সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. শামছুল আরফিন এ তথ্য জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এই রোগ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিকল্প নেই। করোনা টিকার বুস্টার ডোজ গ্রহণে সবাইকে উৎসাহিতসহ করোনার লক্ষণ দেখামাত্রই রোগ নির্ণয়ে নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন জানান, চলমান বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে খুলনা জেলায় ১৯ হাজার ১৪০ টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সাত হাজার ১৩৩ টন চাল সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া দুই হাজার ৯৫০ টন ধান সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন জানান, আগামী ১৮ জুলাই থেকে খুলনায় বিভাগীয় পর্যায়ে বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল জানান, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন খুলনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, লেজার শো, আতশবাজি প্রদর্শনীসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য রাত ৮টার পরে সব মার্কেট দোকান বন্ধ রাখতে হবে। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব সরকারি দপ্তরের ওয়েবসাইট হালনাগাদ থাকা দরকার।’
সভায় কেডিএর সচিব তবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাদিকুর রহমান খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তানভীর আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য