-->

২ বছরেও চালু হয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
২ বছরেও চালু হয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্র

দিনাজপুর : দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপির চিন্তামন ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র নির্মাণের ২ বছর পার হলেও চালু হয়নি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি।

 

ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউপি মা ও স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণকেন্দ্রটি  নির্মাণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে  প্রায় ৪ কোটি ২৫ হাজার টাকা নির্মাণকাজে বরাদ্দ দেয়ার পর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুর টেন্ডার আহ্বান করলে ওই টেন্ডারের কাজটি পায় সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনস্ট্র্রাকশন। নির্মাণকাজটির ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পর গত ১৬ আগস্ট ২০১৮ খ্রি: অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার (এমপি) চিন্তামন ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রটি নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

 

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর থেকে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণের কাজ শুরু হয়। ফুলবাড়ী উপজেলার চিন্তামন ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রটি নির্মাণ হলেও গত ২ বছরেও চালু হয়নি।

 

ঠিকাদার মো. আনোয়ার হোসেন ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্র এবং ৩য় তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ করার পর ভবন দুটি এখন তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শিশু কল্যাণকেন্দ্রের নির্মাণকৃত ৩য় তলা ভবনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহকৃত মালামালগুলো তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

 

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলার মেসার্স পিয়াস কনস্ট্র্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ভবন নির্মাণ হওয়ার পর দুটি ভবন ও মালামাল ২০২২ সালে দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন এখানে আমার করার কিছু নাই।

 

অন্যদিকে দিনাজপুর স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ভবন নির্মাণ তদারক করেছি আমি। তবে ভবন নির্মাণ হওয়ার পর ঠিকাদার মো. আনোয়ার হোসেন ভবন দুটি দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন।

 

এ বিষয়ে দিনাজপুর জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঠিকাদার ভবন দুটি আমার কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে জনবলের কারণে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জনবল দেয়া হলে আমরা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু করব।

 

ফুলবাড়ী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. রইছউদ্দীনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঠিকাদার ভবন দুটি নির্মাণের পর দিনাজপুর উপপরিচালক মোছা. মমতাজ বেগমের কাছে হস্তান্তর করেছেন। আমি ওই উপকেন্দ্রের দায়িত্বভারের  কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে ভবন ও মালামালের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়া হবে।

 

পাহারাদার মিজানুর রহমান ২০২০ সাল থেকে ভবন দুটি তদারক করছেন। গত ২ বছর ধরে তাকে বেতন দেয়া হচ্ছে না। ঠিকাদার তার কাছে চাবি দিয়ে চলে গেছেন। এখন ঠিকাদার বলছেন, পাহারাদারের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

 

অন্যদিকে পাহারাদার মিজানুর রহমান বলছেন, আমি ২ বছর ধরে কোনো বেতন পাইনি। ঠিকাদার আমাকে রাস্তায় চাবি ফেলে দিতে বলে।

 

এ অবস্থায় পাহারাদার এখনো ভবনটির দায়িত্ব পালন করছেন। কে দিবে এই পাহারাদারের বেতন? আনাহারে অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন তিনি।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version