-->
শিরোনাম

অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন প্রকল্পে অনিয়ম

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন প্রকল্পে অনিয়ম

শরীয়তপুর : জেলার গোসাইরহাট উপজেলার নাগেরপাড়া, সামন্তসার, ইদিলপুর ও নলমুড়ি ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্মিত আবাসন প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

 

এ ছাড়াও এ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় মাত্র ১২০ থেকে ১২৫ ফুট গভীরতায় স্থাপন করা সাব-মার্সিবল পানির পাম্পে সুপেয় পানি না ওঠে ব্যবহার অনুপযোগী আর্সেনিক, লবণ ও দুর্গন্ধযুক্ত লাল পানি বের হওয়ায় এসব অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে।

 

এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধারা গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। সামন্তসার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী পেদার বাড়ি সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন পূর্বে তার বাড়িতে সাব-মার্সিবল পানির পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

 

মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী পেদা জানান, পাম্প চালু করলেই আর্সেনিক, লবণ ও দুর্গন্ধযুক্ত লাল পানি বের হচ্ছে। ওই পানি পান করা তো দূরের কথা ব্যবহারের অনুপযোগী। এমনকি হাড়ি-পাতিল ধোয়াও সম্ভব হচ্ছে না। বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী পেদার স্ত্রী রেনু বেগম ও তার কন্যা তামান্না বলেন, যে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে তাতে নিম্নমানের ইট, সুরকি ব্যবহার করছে। দরজা-জানালায় সস্তা দামের গ্রিল ও কাঠ ব্যবহার করছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে এখন ঘর নির্মাণের কাজই কয়েক মাস ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে আমাদের বসবাস করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। একই অভিযোগে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর-সামন্তসার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান। জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ২৫টি আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।

 

এ রকম অভিযোগ অধিকাংশ অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণের ক্ষেত্রেই পাওয়া গেছে। গোসাইরহাট উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নাগেরপাড়া, সামন্তসার, ইদিলপুর ও নলমুড়ি ইউনিয়নে সুপেয় আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি পেতে হলে এসব এলাকায় ২৪০ থেকে ২৬৫ মিটার গভীরতায় নলকূপ স্থাপন করতে হবে।

 

এসব অভিযোগ সম্পর্কে গোসাইরহাট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, সাব-মার্সিবল পানির পাম্প স্থাপনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো হাত নেই। এটা ঢাকার হেড অফিস থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, সাব-মার্সিবল পানির পাম্পে সুপেয় পানি না ওঠার বিষয়ে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এসব অভিযোগ সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।

 

এসব বিষয় সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এম ইদ্রিস সিদ্দিকীর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা সুপেয় নিরাপদ পানি না পেলে আমরা তার সুব্যবস্থা করব।

 

ভোরের আকাশ/জেএস/

মন্তব্য

Beta version