রংপুর: মানবসেবা মহৎ গুণ। এই কথার গুরুত্ব সামনে রেখে জীবনের বাকিটা সময় অতিক্রম করাই যার মূল উদ্দেশ্য তিনি হলেন রংপুর নগরীর পশ্চিম জুম্মাপাড়া ২৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলহাজ মোহাম্মদ আলমাস উদ্দিন। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে কোনো প্রকার স্বার্থ ছাড়াই পরোপকারে এগিয়ে আসছেন এই মহৎ ব্যক্তি।
একসময় তিনি ছিলেন কৃষক। তবে বর্তমান বেকার জীবন অতিবাহিত করছেন। বেকারত্ব তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
নিজ এলাকার ছোটখাটো সমস্যা রোডঘাটের খানাখন্দ এমনকি মানুষের চলাচলে অসুবিধাজনক স্থানগুলো নিজ হাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে থাকেন তিনি। এ ছাড়াও গরিব দুখী অসহায় মানুষের পাশে সর্বদাই থাকার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, এলাকার একটি ড্রেনের পাশে বসে নিজ হাতে একটি স্ল্যাব বা ঢাকনা তৈরি করছেন তিনি। জানা যায়, এলাকার গলির এই ড্রেনটি দীর্ঘদিন ধরে উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। ফলে বিভিন্ন প্রকার ময়লা আবর্জনা স্তূপাকার হয়ে অনেক সময় পানি চলাচলে ব্যাহত হতো। শিশুদের জন্য এটি বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল।
তাই দীর্ঘদিনেও এই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তিনি নিজ উদ্যোগেই নিজ হাতে এর সংস্কার কাজ করছেন।
তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি যেসব সমাজসেবামূলক কাজগুলো করে থাকেন তার বিনিময়ে কখনো কারও কাছ থেকে কিছু নেন না। সম্পূর্ণ নিজ অর্থায়নে নিজ শ্রমে যতটুকু পারেন ঠিক ততটুকুই করে থাকেন তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, আল্লাহ তা’আলা তাকে যতদিন তৌফিক দান করবেন ঠিক ততদিন তিনি এসব সেবামূলক কাজ করে যাবেন।
এলাকাবাসী মুদি দোকানি এমদাদ হোসেন বলেন, বর্তমান যুগে এ রকম মানুষের অনেক অভাব। বর্তমানে সমাজে অনেক মানুষ বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তবে তাদের পেছনে কিছু না কিছু স্বার্থ থাকে। কিন্তু এই মানুষটি কোনো স্বার্থ ছাড়াই সবার সেবা করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
এলাকাবাসী রাশেদ খান বলেন, আলমাস ভাই নিঃসন্দেহে একজন দ্বীনদার ও সাদা মনের মানুষ। তার মতো মানুষ এখন খুব একটা দেখা যায় না। তিনি আড়াল থেকেই মানুষকে সহযোগিতা করেন। তিনি আমাদের এলাকায় একজন জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য