-->

আত্মীয় পরিচয়ে বৃদ্ধার শেষ সম্বল নিয়ে গেলেন প্রতারক

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি
আত্মীয় পরিচয়ে বৃদ্ধার শেষ সম্বল নিয়ে গেলেন প্রতারক
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া প্রতারকের ছবি

রাঙ্গুনিয়া : বৃদ্ধা রবিজা খাতুন (৬৫)। অল্প অল্প করে গ্রামীণ ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রে জমিয়েছিলেন দশ হাজার টাকা। কিন্তু ছেলে কাঠমিস্ত্রী মো. হাশেম নারিকেল গাছ থেকে পড়ে একটি হাত ভেঙে ফেলায় চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন পড়ে। এ অবস্থায় বৃদ্ধা রবিজা খাতুন গ্রামীণ ব্যাংকে গিয়ে জমানো ১০ হাজার টাকা উত্তোলন করেন ছেলের হাতের চিকিৎসার জন্য। এ সময় হাজির হন আত্মীয় পরিচয় দেওয়া অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। আত্মীয়তার পরিচয় দিয়ে কথোপকথন শুরু করেন। তিনি কৌশলে রবিজা খাতুনের কাছ থেকে জেনে নেন গ্রামীণ ব্যাংকে আসার কারণ। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি বৃদ্ধা রবিজাকে ছেলের চিকিৎসার জন্য এক লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা করবেন বলে জানান।

 

অসহায় রবিজা খাতুনও এ কথা বিশ্বাস করেন। এরপর আত্মীয় পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তির সাথে রবিজা খাতুন রাউজানের পাহাড়তলীর ইউনিয়ন ব্যাংকে যান সহযোগিতার টাকা উত্তোলন করার জন্য। কিন্তু এর আগে কৌশলে ওই ব্যক্তি রবিজা খাতুনের গ্রামীণ ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা সেই ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।

 

অভিনব ও হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে ২৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী বাজারে। প্রতারণার শিকার বৃদ্ধা রবিজা খাতুনের বাড়ি রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড পিয়াদা পাড়ার চাঁদমিয়া মিস্ত্রি বাড়ি হলেও স্বামী মারা যাওয়ায় তিনি সন্তানদের নিয়ে রাঙ্গুনিয়ার শান্তিরহাট শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

 

রবিজা খাতুনের ছেলে মো. হাশেম বলেন, নারিকেল গাছ থেকে পড়ে আমার হাত ভেঙে গেলে চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন হয়। পরে চিকিৎসার জন্য আমার মা জমানো টাকা তুলতে যান গ্রামীণ ব্যাংকে। সেখানেই এক প্রতারক এসে অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আমার মায়ের শেষ সম্বল হাতিয়ে নিয়ে যায়। হাত ভেঙে যাওয়ায় কাজ করতে পারছি না। মানবেতর জীবনযাপন করছি।

 

রাউজান চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ফাঁড়িতে এলে তাকে থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব বলেও জানিয়েছি ভুক্তভোগীকে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version