মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ফৌজদারি মামলা করার কারণে বাদীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন খাগড়াছড়ির একটি আদালত। একইসঙ্গে মামলার আসামিদের ক্ষতিপুরণ প্রদানের জন্য বাদীর প্রতিও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ ৩১ অক্টোবর খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল হোসেন চৌধুরী এ আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৮/৪২৭/৩২৩/৩০৭/৩৫৪/৩৭৯/৩৮০/৫০৬(২) ধারায় অভিযোগ এনে খাগড়াছড়ির চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিগত ১৭/০৮/২০২০ খ্রিস্টাব্দে দীঘিনালা উপজেলার কহিনুর বেগম, স্বামী-সামছুল হক, একটি ফৌজদারি মামলা করেছিলেন
এবং বিচারকালীন পেনাল কোডের ১৪৩/৪২৭/৩২৩/৫০৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হলেও বিচার শেষে আদালতের কাছে স্পষ্ট হয় যে, বাদীর অভিযোগ মিথ্যা ও হয়রানিমূলক।
ফলে আদালত আসামিদেরকে মামলা হতে খালাস দিয়ে বাদীকে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(৫) ধারার বিধান মতে ৩(তিন) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে
ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০(২) ধারার বিধান মতে মামলার সাতজন আসামির প্রত্যেককে ১০০০ টাকা করে ক্ষতিপুরণ প্রদান এবং ক্ষতিপুরণ (জরিমানা)’র অর্থ
অনাদায়ে ১৫ (পনোরো) দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ প্রদানের বিষয়ে জানা যায় আদালতের আদেশে।
আদালত রায় পর্যালোচনায় বলেন, অভিযোগকারী কহিনুর বেগম ইচ্ছাকৃতভাবে আসামিদের হয়রানি করার উদ্দেশে মিথ্যা ঘটনা দেখিয়ে মামলা করায় দৃষ্টান্ত হিসেবে এ সাজা দেওয়া হয়।
মন্তব্য