বগুড়ার সাহিত্য সংরক্ষণে স্থানীয় লেখকদের নিয়ে প্রকাশনা বের করবে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক মঙ্গলবার সকালে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
বগুড়া জিলা স্কুল মাঠে জেলা সাহিত্যমেলা উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ আলোচন সভা হয়েছে। এর আগে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী জেলা সাহিত্যমেলা-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। বাংলা একাডেমির সমন্বয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সাহিত্যমেলার আয়োজন করে বগুড়া জেলা প্রশাসন।
সভায় জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, মুক্তমনের চর্চাকে আরো বেশি গণমুখী করাই এ সাহিত্যমেলার লক্ষ্য। এখানে ছাত্র-ছাত্রীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কারণ তাদের মাঝে এখনই সাহিত্যমেলার ধারণা ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, বগুড়ায় স্থানীয় অনেক লেখক রয়েছেন। তারা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় চর্চা করেন। শুধু সাহিত্যমেলা করে তেমন কোনো ফল পাওয়া যাবে না। এজন্য সাহিত্যমেলা নিয়ে একটি পাবলিকেশন্স করা হবে। এতে স্থানীয় লেখকদের জেলার সাহিত্য নিয়ে লেখা থাকবে। তা না হলে জেলার সাহিত্য-শিল্প মূল্যায়িত হবে না।
এর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ শিবলী বলেন, সংস্কৃতিমনস্ক মেধাবী জাতি তৈরি করাই এ মন্ত্রণালয়ের কাজ। প্রত্যেক জেলার আলাদা ধরনের সাহিত্য, সংস্কৃতি রয়েছে। সেগুলোকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য এমন সাহিত্যমেলার আয়োজন। আজকের এই সাহিত্যমেলা বগুড়ার সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই কামনা।
সাহিত্যমেলার উদ্বোধন ও আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুম আলী বেগ। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলা একাডেমির উপপরিচালক ড. এ কে এম কুতুবউদ্দিন।
এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, কবি ও লেখক বজলুল করিম বাহার।
এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী এই মেলায় বগুড়া জেলার সাহিত্য, কবিতা, ছড়া, নাটক নিয়ে আলোচনা হয়। দুপুরে লেখকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য