-->
শিরোনাম

পরিত্যক্ত ঘর এখন ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পরিত্যক্ত ঘর এখন ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর

পঞ্চগড়ের মহানন্দার তীরবর্তী স্থানে ডাকবাংলোর পিকনিক কর্নারের একটি পরিত্যক্ত ঘরকে ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর’ হিসেবে রূপ দিয়েছেন তেঁতুলিয়ার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা। স্থানীয় কাঞ্চন বাঁশ ব্যবহার করে অলঙ্কৃত করায় জাদুঘরটি খুব সহজেই নজর কাড়ছে পর্যটকদের। ইউএনও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে ও পর্যটকদের বিনোদনের জন্য জাদুঘরটি নির্মাণ করেছেন।

 

পর্যটন স্পট ডাকবাংলোর পিকনিক কর্নারে নির্মিত জাদুঘরটির ১১টি গ্যালারিতে রয়েছে দুর্লভ সব মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক ইতিহাসের স্থিরচিত্র। ছবিগুলোতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারত ভাগ, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ইতিহাস, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাÐসহ স্বাধীনতার পরবর্তী ইতিহাসের ঘটনা ফুটে উঠেছে।

 

এ ছাড়া গ্যালারিতে উপস্থাপন করা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্জন, চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড, ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ১০০ বছরের প্রজেক্ট পরিকল্পনা। এ ছাড়াও রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ চত্বর, ৭ বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিকৃতি, গ্রামীণ বাংলার কৃষাণ-কৃষানীর মূর্তি, রয়েছে গ্রামীণ ঐতিহ্যের বিলুপ্তির পথে গরুর গাড়ি, পালকি, চা কন্যা ও বিভিন্ন নান্দনিক কৃত্রিম ভাস্কর্য।

 

পর্যটকরা কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপ-সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি দেখছেন ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর’। মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনাপ্রবাহ দেখতে পেয়ে আনন্দিত হচ্ছে দর্শনার্থীরা। নতুন প্রজন্মের দর্শনার্থীরা বলছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখতে না পারলেও এখানে এসে বাংলাদেশকে জানতে পারছি।

 

লুৎফর রহমান নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, উদ্যোগটি চমৎকার। আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। সে সময়ের ঘটনা ও ইতিহাস এবং যুদ্ধপরবর্তী দেশের উন্নয়ন চিত্র এখানে এসে দেখতে পেরে খুব ভালো লাগল। এখানে এসে যেকোনো দর্শনার্থী জ্ঞান আহরণ করতে পারবেন।

 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন, ইতিহাস, বিকাশে তেঁতুলিয়ায় আগত পর্যটকদের জন্য ডাকবাংলোর পিকনিক কর্নারে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর’ স্থাপনা করা হয়েছে। তেঁতুলিয়া ডাকবাংলোতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে থাকেন। এই আনন্দের পাশাপাশি যাতে তারা দেশের ইতিহাস, নিজেদের ঐতিহ্য ও দেশের আন্দোলন এবং উন্নয়ন, পদ্মা সেতু নির্মাণ, আশ্রয়ণ প্রকল্প, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ভিশন সম্পর্কে জানতে পারেন সে লক্ষেই এই ‘অপ্রতিরোধ্য বাংলা জাদুঘর’। ফটোগ্যালারির মাধ্যমে এসব চিত্র দেখানোর চেষ্টা করেছি।

 

তিনি বলেন, একজন পর্যটক অথবা স্কুল শিক্ষার্থী যদি এই জাদুঘরে আসেন তাহলে তারা অনেক কিছুই জানতে পারবেন।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য

Beta version