ফেনীর দাগনভ‚ঞায় দুধমুখা ছেরাজল হক আদর্শ মাদরাসার পাশে সিরাজ ব্রিকস অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানির কার্যক্রম চলছে। এতে করে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ছেরাজল হক আদর্শ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ২০১০ সালে সিরাজ ব্রিকস অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং কোম্পানি ইটভাটা স্থাপন আইন অমান্য করে মাদরাসার কাছেই তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এসব দেখেও না দেখার ভান করছে প্রশাসন।
এদিকে ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীরা হাঁচি, কাশি, অ্যাজমা, এলার্জিসহ নানা ধরনের চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আইন অনুযায়ী যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। তবে সেই আইনের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না।
মাদরাসার শিক্ষার্থী, স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানায়, ইটভাটা স্থাপনের সময় বাধা দেয়া হয়েছে। প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে জোরপূর্বক ইটভাটা গড়ে তোলা হয়েছে। দ্রæত এ ইটভাটা উচ্ছেদ করে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে রক্ষা করা প্রয়োজন।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি চৌধুরী মোমিন উল্যাহ বলেন, ইটভাটা বন্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। সরকারের রেজিস্ট্রেশন শাখা, পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসন কিভাবে অনুমতি দিয়েছে তা আমার জানা নেই। দ্রæত প্রতিষ্ঠানের পাশ থেকে ইটভাটা উচ্ছেদ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মাদরাসার সুপার মো. ইব্রাহীম খলিল বলেন, প্রতিবছরই দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ ফলাফল অর্জন করে আসছে মাদরাসাটি। মাদরাসায় মোট শিক্ষক কর্মচারীসহ ১৬ জন কর্মরত আছে। ৬০ শতাংশ সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ মাদরাসায় মোট শিক্ষার্থী রয়েছে চার শতাধিক। ইটভাটার কারণে লেখাপড়ায় বিঘœ ঘটছে শিক্ষার্থীদের। ইটভাটা মালিকের ছেলে ইসমাইল বলেন, আমরা অনুমতি নিয়ে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে
চাইলে তিনি বলেন, আমার বাবা সিরাজ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। দাগনভ‚ঞা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা স্থাপনের কোনো নিয়ম নেই। তারপরও যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য