অবশেষে বাগেরহাটের মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সেই অফিস সহকারী পতিত পবন রায়কে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। দৈনিক ভোরের আকাশসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বাগেরহাট মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অনিয়ম ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অধিদপ্তর কোনো একজনকে রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. আবুল কাশেম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে, দাকোপ উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে পতিত পবন রায়কে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বদলি করা হলো।
পতিত পবন রায়ের বদলির খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে অবাক হয়েছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, দুর্নীতির অভিযোগ উপপরিচালক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে। আর এখানে বদলি হয় শুধু পবনের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সচেতন মানুষেরা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক নাজমুন নাহারের সঙ্গে অধিদপ্তরের কোনো এক কর্মকর্তার সখ্য থাকার কারণে তাকে সেভ করতে গিয়ে অফিস সহকারী পতিত পবনকে বদলি করা হয়েছে। পতিত পবন রায়ের বদলির আদেশে বাগেরহাট জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রশিক্ষণার্থীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থী বলেন, আমরা অনেক খুশি হয়েছি। পবন রায়ের মতো এত খারাপ লোক আমরা দেখিনি। ডিডি ম্যাডামও ভালো মানুষ না।
তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক রাজস্ব স্যার সোমবার আমাদের অফিস দেখতে এলে আমরা স্যারকে বলেছিলাম, আমাদের প্রশিক্ষণ রুমে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। অন্য কোনো রুমে সিসি ক্যামেরা নেই। এ নিয়ে পতিত পবন ও ডিডি ম্যাডাম যা ইচ্ছা তাই বলেছে। আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের এক প্রশিক্ষক ক্ষোভের সাথে বলেন, পতিত পবন রায়কে শাস্তিমূলক বদলি করা উচিত ছিল। যেখানে এত পত্রপত্রিকায় তাদের দুজনের দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হয়েছে আর আমাদের অধিদপ্তর সাধারণ বদলি করল, এটা ভাবনার বিষয়। খতিয়ে দেখলে এর আসল রহস্য পাওয়া যাবে।
এদিকে গত ১৩ নভেম্বর বাগেরহাট জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার বাগেরহাট মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পতিত পবন রায় ও উপপরিচালক নাজমুন নাহারের দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি তুললে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।
অপরদিকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের ট্রেইনার লায়লা আক্তার, ক্লিনার আছিয়া আক্তারের আবেদনের ভিত্তিতে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) গত ১৪ ও ১৫ নভেম্বর মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের পাঁচজনের মতামত গ্রহণ করেছেন।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পতিত পবন রায় ও উপপরিচালক নাজমুন নাহারের দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এ বদলির আদেশ দেয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য