-->

রামচন্দ্রপুর গ্রামে গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
রামচন্দ্রপুর গ্রামে গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণের পাঁয়তারা
ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামে কাঠের বাগানের গাছ কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে প্রতিপক্ষরা

ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামে প্রতিপক্ষরা মো. মাসুদ উল হুদার কাঠের বাগানের গাছ কেটে ফেলেছে। একই সঙ্গে মো. আবু তাহেরের ফলদ বাগানের গাছ কেটে করে রাস্তা নির্মাণ করার পাঁয়তারা করছেন বাহার উদ্দিন গংরা। এমনটাই অভিযোগ মিলেছে।

 

ফুলবাড়ী উপজেলার কাজিহাল ইউপির রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত নুরুল হুদা সরকারের পুত্র মো. মাসুদ উল হুদার মঙ্গলবার ফুলবাড়ী থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় কাজিহাল ইউনিয়নের দক্ষিণ ভেড়ম মৌজায় মো. মাসুদ উল হুদার পৈতৃক সম্পত্তিতে প্রায় ১৫ বছর আগের লাগানো ৮টি ইউকিলিপটাস গাছ ও একই গ্রামের মৃত্যু সাহির উদ্দিন সরকারের পুত্র মো. আবু তাহেরের একই দিনে দায়েরকৃত অভিযোগে

 

জানা যায়, মো. বাহার উদ্দীন (৬২), পিতা মৃত. ইব্রাহিম মন্ডল, সাং- পশ্চিম রামচন্দ্রপুর, মো. নজরুল ইসলাম (৬০), পিতা মৃত ছোবহান আলী, সাং- মিরপুর জলেশ্বরী, মো. মাহাবুবুর রহমান (স্বপন) (৪৮), মো. রতন (৩৮), উভয়ের পিতা মো. নজুমুল বিশ্বাস ওরফে খেড়–, শ্রী নিরঞ্জন (৪০), পিতা মৃত খোকা দাস, সর্ব সাং- জয়ন্তী, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর।

 

তারা দলবদ্ধ হয়ে মো. মাসুদ উল হুদার পৈতৃক সম্পত্তিতে লাগানো ৮টি গাছ কেটে ফেলে জোর করে রাস্তা তৈরির প্রস্তুতি গ্রহণ করে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। একইভাবে মো. আবু তাহেরের জমিতে লাগানো ৩৮টি লিচুর গাছের মধ্যে ০৬টি গাছ ও বাঁশঝাড়সহ অন্যান্য আবাদি ফসল নষ্ট করে দেয়। যার আনুমানিক ক্ষতি প্রায় ২ লাখ টাকা।

 

এ ঘটনায় মো. মাসুদ উল হুদা ও মো. আবু তাহের পৃথকভাবে পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ফুলবাড়ী থানার ওসি মো. আশ্রাফুল আলমের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

অন্যদিকে কাজিহাল ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক রতনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এলাকার লোকজন জোর করে গাছ কেটে রাস্তা তৈরি করার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিয়েছিলাম। তারা আমার কথা রাখেনি। জমির অন্য পাশ দিয়ে রাস্তা করার কথা বলেছি কিন্তু গাছ কাটার বিষয়টি আমি অবগত নই। এ ঘটনায় আবু তাহের ও মাসুদ উল হুদা প্রশাসনের কাছে তদন্তসাপেক্ষে ন্যায়বিচার দাবি করেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version