১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় সেনাদের সহায়তায় মুকুন্দপুর রেল স্টেশন, আখাউড়া রেল স্টেশনসহ আশেপাশের এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। এই রেলপথগুলো সিলেট থেকে ঢাকার সাথে যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম ছিল।
তাই মুক্তিযোদ্ধারা এ সকল এলাকা দখলে নেয়ার কারণে পাক হানাদার বাহিনী কোণঠাসা হয়ে পড়ে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে চরম বিঘ্ন ঘটে। ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের এই এলাকাগুলো দ্রুতই শত্রুমুক্ত হতে থাকে, যার ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ সুগম হয়।
নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরম আরাধ্য ফলাফল এটি। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও মুক্তিযোদ্ধারা ১৯ শে নভেম্বর ঐতিহাসিক মুকুন্দপুর মুক্ত দিবস উদযাপন করা হবে। উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় যথাযোগ্যভাবে আগামীকাল বিকাল ৩টায় মুকুন্দপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।
এতে স্থানীয় সাংসদ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩) যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী উপস্থিত থাকবেন বলে বিজয়নগর উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দবির উদ্দিন ভূঁইয়া নিশ্চিত করেছেন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামে এক তুমুল লড়াইয়ের পর পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় এই গ্রাম।
মুকুন্দপুর যুদ্ধে ১৯ জন পাক সেনা নিহত হয়। যুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ১৮ রাজপুত ব্যাটালিয়ন সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য