চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বাংলাদেশের শস্যভান্ডার নামে খ্যাত গুমাইবিলে আমন ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। ধানের আশানুরূপ ফলন হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীর চোখে-মুখে দেখা দিয়েছে আনন্দের ঝিলিক। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম নিয়েও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
শনিবার সকালে উপজেলার গুমাইবিলে ঘুরে দেখা যায়, বিচ্ছিন্নভাবে কৃষকরা মাঠে পেকে যাওয়া আগাম জাতের সোনালি ধান কাটছেন। সেই সঙ্গে ঘরে তুলছেন ধান। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার আমন আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে।
কৃষি অফিস বলছে, বিধান ৫১ জাতের নমুনা শস্য কর্তনে দেখা যায়, ২০ বর্গমিটার ১৬.২৮০ কেজি (কাঁচা) ফলন হয়েছে। যেখানে উপস্থিত আর্দ্রতা ১৬.৭%। ১২% আর্দ্রতার ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৭০ মেট্রিক টন এবং ১৪% আর্দ্রতার ফলন ৭.৮৮ মেট্রিক টন। যেখানে গবেষণায় বলা হয়েছে ফলন ৪.৫-৫ মেট্রিক টন হবে, সেখানে আমরা ফলন পেয়েছি ৭.৮-৮ মেট্রিক টন।
কদমতলী ইউনিয়নের স্থানীয় গুমাইবিলের কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, আমন ধান লাগানোর শুরুতেই অনাবৃষ্টি আর শেষের দিকে কারেন্ট পোকার আক্রমণে অনেকটাই চিন্তিত ছিলেন কৃষকরা। তবে শেষ পর্যন্ত আশানুরূপ ফলন পেয়ে দারুণ খুশি আমরা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, নবান্নের আনন্দে নতুন ধান ঘরে তুলতে আগাম জাতের আমনের পাকা ধান কাটছে কৃষকরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় পাকা ধান কেটে জমিতে শুকানো হচ্ছে। ধান মাড়াই ও গোলায় উঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণী। এবার বিঘাপ্রতি প্রায় ১৬-২০ মণ হারে ফলন হয়েছে। ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ার আশায় চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কারিমা আক্তার বলেন, এবার ভালো ফলন হয়েছে আমন ধানের। ১৫ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে আমনের চাষাবাদ করা হয়েছে। চিকন ধান ২৮-৩০ টাকা , মোটা ধান ২৬-২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে। ভালো ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকরা।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য