মানিকগঞ্জের সিংগাইর সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. নূরুদ্দিনের বিরুদ্ধে কলেজ সরকারিকরণের নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সে টাকা শিক্ষকদের ফেরত দিয়েছেন তিনি।
তবে অধ্যক্ষের দাবি, সরকারিকরণের নামে টাকা উৎকোচ নেয়ার বিষয়ে কিছুই জানেন না তিনি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে জানার পর সে টাকা ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক শফিকুল ইসলাম খানকে ফেরত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে কলেজের শিক্ষকরা বলছেন, অধ্যক্ষের সম্মতিতে শফিকুল ইসলাম খান বিশ জন শিক্ষকের কাছ থেকে সরকারিকরণের কথা বলে দশ হাজার করে টাকা নিয়েছেন। তবে প্রভাষক শফিকুল ইসলাম দুই লাখ টাকা উৎকোচ নেয়ার বিষয় স্বীকার করলেও সে টাকা এক দিন পরেই ফেরত দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি মাসের ৭ নভেম্বর সিংগাইর সরকারি ডিগ্রি কলেজে চলতি মাসে ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্মীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’ বিধি মোতাবেক পত্র জারি করা হয়। এ উপলক্ষে ৮ নভেম্বর অধ্যক্ষ নূর উদ্দিন শিক্ষকদের নিয়ে জরুরি সভা ডাকেন। সভায় তার একক প্রচেষ্টায় কলেজটি সরকারিকরণ হয়েছে বলে দাবি করেন।
এ ছাড়া কলেজের হর্তাকর্তা একমাত্র তিনিই। তার সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে ‘ভালো হবে না’ বলে হুঁশিয়ারি দেন। সভার পর অধ্যক্ষের আস্থাভাজন শফিকুল ইসলাম খান সরকারিকরণের খরচ ও এজি অফিসে খরচের জন্য টাকা দাবি করেন। পরে আরেক দফায় সব শিক্ষককে নিয়ে শফিকুল ইসলাম সভা করে দশ হাজার করে টাকা তোলেন।
উৎকোচ দেয়ার সিদ্ধান্তে একাধিক শিক্ষকের সমর্থন না থাকলেও ঝামেলা এড়াতে তারাও সমপরিমাণ টাকা দেন। যদিও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জেনে যাওয়ায় পরের দিন টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘শফিকুল ইসলাম খান অধ্যক্ষ মহোদয়ের কাছের মানুষ। সরকারিকরণ ও এজি অফিসের জন্য অধ্যক্ষ মহোদয় টাকা চেয়েছেন বলে তিনি আমাদের জানান। না হলে বেতন তোলা থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে ঝামেলা হওয়ার কথা বলেন। ঝামেলা এড়াতে সবাই দশ হাজার করে টাকা দিয়েছি। পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ফেরত পেয়েছি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য