-->
শিরোনাম
সিটি করপোরেশন নির্বাচন

পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রংপুর নগরী

রংপুর ব্যুরো
পোস্টার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে রংপুর নগরী
রংপুর সিটি করপোরেশন

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পরই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। অলিগলিসহ পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে সব এলাকা। নির্বাচন উপলক্ষে আজ সোমবার রংপুরে আসছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির একাধিক কর্মকর্তা।

 

মেয়র পদে দলীয় মনোনীত ছাড়াও স্বতন্ত্র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরই পোস্টার সাঁটানোসহ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন।

 

৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী জামাল উদ্দিন বলেন, আমি আমার কাক্সিক্ষত প্রতীক ‘ঠেলাগাড়ি’ পেয়েছি। হাট-বাজারসহ গোটা ওয়ার্ডে পোস্টার লাগানোর কাজ আপাতত শেষ করেছি। এমনকি প্রতীক পেয়ে মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে প্রার্থীরা তাদের পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ শুরু করেছেন।

 

পোস্টার ছাপার কাজে বর্তমান ব্যস্ত সময় পার করছেন নগরের ছাপাখানার মালিক, শ্রমিক আর কর্মচারীরা। তারা জানান, প্রার্থীরা আগে থেকেই নিজ নিজ পোস্টার ও লিফলেটের সব কাজ সম্পন্ন করে রেখেছিলেন। প্রতীক পাওয়ার পরপরই ছাপানোর কাজ শুরু হয়। তারা আরো জানান, কোনো কোনো প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে শুধু ফোন করে দেয়ার পরপরই ছাপানোর কাজ শুরু হয়ে যায়।

 

রংপুর প্রেস ক্লাব এলাকায় অবস্থিত ছাপাখানা প্রতিষ্ঠান মুদ্রণশৈলীর স্বত্বাধিকারী মিজান তালুকদার বলেন, আগেই সবকিছু প্রস্তুত করে রাখায় প্রতীক বরাদ্দের সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টার মধ্যে দেড় থেকে দুই হাজার পোস্টার ছাপানো সম্ভব হয়েছে। এ ছাড়াও দ্রুত পোস্টার হাতে পাওয়ার জন্য একজন প্রার্থী একাধিক ছাপাখানায় একসঙ্গে কাজ করিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

 

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনোয়ারুল ইসলাম লেবু বলেন, তপশিল অনুযায়ী প্রচারের সময় খুব বেশি পাওয়া যায় না। তাই আগে থেকেই পোস্টারের যাবতীয় কাজ সেরে রাখা হয়েছিল। এ জন্য কম সময়ের মধ্যেই তা প্রচারের কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, সাবেক রংপুর পৌর এলাকা ছাড়াও শহরতলির যেসব ইউনিয়ন পরিষদকে সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলোতেই বেশি পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। এসব পোস্টার সাঁটানোর ক্ষেত্রে মেয়র প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

 

এদিকে শুক্রবার থেকে প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার শুরুর অনুমতি পাওয়ার পর নির্বাচনী মাঠ ক্রমেই সরগরম হয়ে উঠছে। নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন জানান, নির্বাচনী প্রচার চলবে ২৫ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত। তবে এ সময় মাইকে প্রচার চালাতে পারবেন প্রতিদিন শুধু দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। কেউ যাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন না করতে পারে, সে জন্য ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সিটি করপোরেশন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হবে।

 

তিনি আরো জানান, সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক কর্মকর্তা রংপুরে আসবেন। নির্বাচন ঘিরে তাদের প্রার্থী, নির্বাচন কর্মকর্তা ও সুধীজনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version