শরীফ আহমেদ, চাঁদপুর: চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ওয়াপদা খালের উপর মাত্র ৪০ মিটারের ছোট একটি ব্রিজের অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ৪ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের। এলাকাবাসীর প্রয়োজনে স্থানীয়দের অর্থায়নে নির্মিত একটি কাঠের সাঁকো এখন তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। নড়বড়ে সাঁকোটিতে প্রতিদিন যাতায়াত করছে শিক্ষার্থী বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষ। এতে সাঁকোটিতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও নেয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
এলাকাবাসীরা জানান, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের তপদার বাড়ি সংলগ্ন ওয়াপদা খালের ওপর নির্মিত কাঠের সাঁকো। এই সাঁকোটি দিয়ে খালের পশ্চিম পাড়ে গুপ্টি পুর্ব, গুপ্টি পশ্চিম, হামছাপুর, বৌচাতুলী গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। তাই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়েই সাঁকো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের গুপ্টি আবু বকর (রাঃ) মাদ্রাসা, বৌচাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গল্লাক নোয়াব আলী উচ্চ বিদ্যালয়, আদর্শ ডিগ্রী কলেজসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। এছাড়াও প্রতিদিন যাতায়াত করছেন কৃষক ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অন্তত ৪ হাজার মানুষ। বর্তমানে সাঁকোটির অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। সাঁকোর বেশ কিছু স্থানেই খুলে গেছে কাঠের পাঠাতন। এতে যাতায়াতের সময় প্রায় সময় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
স্থানীয় গুপ্টি এলাকার নবম শ্রেনির শিক্ষার্থী রাতুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন সাঁকো পার হতে বয় করে। কেননা কখন যে সাঁকো থেকে পড়ে যাই। তাই দ্রুত জনবহুল এই এলাকার জন্য ব্রিজ নির্মান দাবী তার।
স্থানীয় গুপ্টি বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. মোবারক হোসেন জানান, একটি সেতুর অভাবে চার গ্রামের অসুস্থ রোগী গর্ভবতী মা ও কৃষকের ফসল ঘরে তোলা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে তাদের জন্য। এছাড়াও সেতু না থাকায় কোনো অটো বা সিএনজি এখানে আসতে চায় না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয়রা। বিশেষ করে সেতুর অভাবে ৫ কিলোমিটার দূরের সড়ক ব্যবহার করতে হয় তাদের।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ এলজিইডি‘র উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবরার আহমেদ জানান, মানুষের যাতায়াতের সুবিধা ও প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে ওয়াপদা খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য