-->

কুমিল্লায় এনজিও কর্মীকে পিটিয়ে আহত

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় এনজিও কর্মীকে পিটিয়ে আহত
ছবিঃ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীনে এনজিও কর্মী কালন মিয়া।

দৃষ্কৃতিকারীদের হামলায় আহত অসহায় রিক্সা চালকের ছেলেকে চিকিৎসা ও অন্যান্য সহায়তা করায় কুমিল্লার বি-পাড়া উপজেলার চান্দলায় কুপিয়ে আহত করা হয় এক সমাজকর্মীকে।

 

আহত সমাজকর্মী কালন মিয়া চান্দলা এলাকার দুদ মিয়ার ছেলে। সে তুরষ্ক স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লিয়াজো কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।

 

ভূক্তভোগি ও মামলার সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বি-পাড়া উপজেলার চান্দলা এলাকায় মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃ রুহুল আমীনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে মানব পাচার করে অসছে। এ বিষয়ে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে।

 

সম্প্রতি এলাকায় ক্যারাম খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রিক্সা চালক মোঃ আলম মিয়ার ছেলে মোশাররফ হোসেনকে মারধর করে মোঃ রুহুল আমীন গংরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য সহায়তার ও এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সহায়তা করার কারনে সমাজকর্মী কালন মিয়ার নিকট সহায়তার জন্য যায় আহত মোশাররফ হোসেন। পরে কালন মিয়া তাকে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রহুল আমীন গংরা অর্থ ও প্রভাব খাটিয়ে আহত রিকসা চালকের ছেলে ও সহযোগিতা করার জন্য সমাজকর্মী কালন মিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেন। পরে আহত রিক্সা চালক বাদী হয়ে আদালতে রুহুল আমীন গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

এ মামলায় স্বাক্ষী হওয়াই কালন মিয়াকে খুন গুম ও মেরে ফেলার হুমকি দামকি দেওয়া হয়। এ ফলশ্রুতিকে কালন মিয়া জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে পেক্ষিতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ ডিসেম্বর সন্ধায় এলাকায় অসহায়দের কম্বল বিতরন করতে গেলে রুহুল আমীন গংরা তাকে কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্নক আহত করে।

 

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়, সেখানে থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় কালন মিয়া বাদী হয়েছে বি-পাড়া থানায় একটি হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার আসামীরা হলেন, কুমিল্লার বি-পাড়া উপজেলার চান্দলা গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোঃ রুহুল আমীন (৪৮), মোঃ আবুল বাশার (৫২), মোঃ মজিবুর রহমান (৬০) ও মোঃ খোশেদ আলম (৬৫), মোঃ সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ রিয়ান (২৩), খোরশেদ আলমের ছেলে মোঃ ইসমাইল (৩৫), আবুল বাশারের ছেলে মোঃ কাল মিয়া (২৪), রুহুল আমিনের ছেলে মোঃ রাকিব (২১)।

 

এ ব্যাপারে আহত সমাজকর্মী কালন মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে তুরষ্কের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে দেশে একটি এনজিওর মাধ্যমে কাজ করছি। সে সুবাদে আমার এলাকায় অসহায়দের সহায়তাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করেছি। একজন অসহায় রিক্সা চালককে সহায়তা করতে গিয়ে হামলা মামলার শিকার হলাম।

 

আমার উপর হামলাকারীরা মানব পাচারের সাথে জড়িত, এ বিষয়ে তাদের নামে অনেক মামলা রয়েছে। অবৈধ টাকার জোরে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

 

বি-পাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান বলেন, কালন মিয়া নামে এক এনজিও কর্মীকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

 

মন্তব্য

Beta version