-->
শিরোনাম

রংপুরে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা

রংপুর ব্যুরো
রংপুরে বৃষ্টির মতো পড়ছে কুয়াশা
ঘন কুয়াশার কারণে অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।

শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। গত কয়েক দিন ধরে তীব্র শীতে জবুথবু রংপুরসহ আশপাশের জেলার মানুষ। বৃষ্টির মতো রাতভর পড়ছে কুয়াশা। অনেক বেলা করেও সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। তীব্র শীত ছড়িয়ে পড়ায় শীতজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।

 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রংপুরে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র কুয়াশার মধ্যে সবচেয়ে কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। জীবিকার তাগিদে রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা চালালেও যাত্রী না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

 

রংপুর নগরীর পায়রা চত্বরে ব্যাটরি চালিত রিকশার চালক মোজাহার হোসেনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, রংপুরে এমন শীত এবং কুয়াশা অতীতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে কিনা, আমার জানা নেই। আমার কাছে মনে হচ্ছে আজকেই সবচেয়ে বেশি শীত এবং কুয়াশা পড়েছে। রাত থেকে বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। টিনের ঘরে থাকি তাই বুঝি যে বৃষ্টির মতো ঝম ঝম শব্দ করে ঘরের চালে পড়ছে কুয়াশা। ‘এমন পরিস্থিতিতে জীবিকার তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি; কিন্তু কোনো যাত্রী পাচ্ছি না।’

 

এহব্বত খা এলাকার অটোচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ¦ালিয়ে চলছে। শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।’

 

সকালে প্রতিদিনের মতো শহরে কাজের সন্ধানে আসা গংগাচড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়ানের কাশিয়া বাড়ির দিনমজুর সাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই কী আর বলব, আমরা তো গরিব মানুষ দিন করে দিন খাই; কিন্তু সকালে এত কুয়াশা পড়ে রাস্তা দেখা যায় না। তারপড়ও কষ্ট করে আমাদের আসতে হয় শহরে কাজের সন্ধানে। দেরিতে আসলে কাজ পাওয়া যায় না। শীতে শতকষ্ট হলেও আমাদের আসতে হয়।’

 

তীব্র শীতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে বয়স্ক এবং শিশুরাই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছে বেশি।

 

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী থেকে এসে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে শিশু সিয়াম। সিয়ামের মা রাবেয়া বেগম জানান, গত কয়েকদিন থেকে অনেক বেশি শীত। তাই বাচ্চার নিউমোনিয়া হয়েছে। এখন চিকিৎসা চলছে তবে আগের তুলনায় অনেকটা সুস্থ আছে সিয়াম।

 

রংপুর হারাগাছ থেকে হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন শামসুল হক নামে এক শ্রমিক। তিনি জানান, শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়েছে। দুদিন ধরে এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন; তবে আগের তুলনায় তিনি ভালো আছেন।

 

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জানা যায়, পাঁচটি ইউনিট নিয়ে গঠিত মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি আছেন ৩৭৬ জন; আর দুটি ইউনিট নিয়ে গঠিত শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে ২৩১ জন।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version