নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে যানবাহন পার্কিং বাবদ গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ফলে বিপাকে পড়েছেন অসহায় ও গরিব রোগিসহ সাধারণ মানুষ। পেশাগত কাজে হাসপাতালে গেলে ছাড় পাচ্ছেন না সাংবাদিকরাও!
গত বুধবার দুপুরে টেলিভিশনের এক সাংবাদিক তার মোটরসাইকেল রেখে হাসপাতালের তত্ত্বাবধয়াকের সাক্ষাতকার আনতে গেলে গ্যারেজের পার্কিংকর্মী সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে টাকা দাবি করেন। এছাড়া রোগিসহ তার স্বজনদের সঙ্গেও গ্যারেজকর্মীরা প্রায়ই দুর্ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে যানবাহনের ধরণ অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেয়া হচ্ছে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন সবাই। এ ধরনের টাকা আদায়কে অনৈতিক হিসেবে দেখছেন ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগি ও তাদের স্বজনরা জানান, সপ্তাহখানেক আগে হঠাৎ করে নড়াইল সদর হাসপাতালের ভেতরে খোলা জায়গায় বাঁশ দিয়ে ঘেরা গ্যারেজ করা হয়েছে। এখানে অটোভ্যান, অটোবাইক ও মোটরসাইকেল প্রতি ২০টাকা এবং বাইসাইকেল প্রতি ১০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই গ্যারেজ করা হয়েছে। অথচ, এতোদিন হাসপাতালের সামনে খোলা স্থানে সবাই যানবাহন রাখতেন। কোনো টাকা দেয়া লাগত না। হঠাৎ করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোহনা টেলিভিশনের নড়াইল প্রতিনিধি হাফিজুল করিম নিলু জানান, গত বুধবার দুপুরে পেশাগত কাজে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে যান তিনি। মোটরসাইকেলটি হাসপাতালের সামনে পার্কিং করেন। এ সময় গ্যারেজকর্মী মিজানুর তার সাথে দুর্ব্যবহার করে টাকা দাবি করেন।
সদর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া গ্যারেজের নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করা অন্যায়। অনেক আগে হাসপাতালের ভেতরে গ্যারেজ করার সিদ্ধান্ত হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখানে গরিব মানুষসহ সাধারণ লোকজন চিকিৎসা নিতে আসেন। এভাবে বাইসাইকেল, মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহন থেকে টাকা আদায় করা ঠিক নয়।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল গফ্ফার বলেন, হাসপাতালে শৃংখলা আনার জন্য স্থানীয় যুবকদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যারেজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যানবাহন প্রতি টাকা কম ধার্য করার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে।
এদিকে অনেকেরই প্রশ্ন, কারা এই স্থানীয় যুবক? গ্যারেজের নামে হঠাৎ করে কেন হাসপাতালে আগতদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে? এ দুর্ভোগের প্রতিকার চায়ছেন ভুক্তভোগীরা।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য