-->
শিরোনাম

মাগুরায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত চাষিরা

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরায় মধু সংগ্রহে ব্যস্ত চাষিরা

মাগুরার ফসলের মাঠ এখন ঢাকা পড়েছে সরিষা ফুলের হলুদ রঙের আবরণে। এসব সরিষা ক্ষেত থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌচাষিরা। লাভজনক হওয়ায় এতে ঝুঁকছেন স্থানীয় অনেক চাষি। মাগুরা সদর উপজেলা রাঘদাইড় ইউনিয়নের ফসলের মাঠজুড়েও সরিষা ফুলের সমারোহ।

 

মৌমাছির পরাগায়নের ফলে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে এমনটাই বলছেন কৃষকরা। মাগুরার প্রায় সব জায়গায় সরিষার আবাদ হয়েছে। আর সরিষা ক্ষেতের চারপাশে সারিবদ্ধভাবে মৌ বাক্স স্থাপন করা হয়েছে। এসব বাক্সে পালিত মৌমাছি সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌ বাক্সে জমা করা হচ্ছে। সেই মধু সংগ্রহ করছেন মৌচাষিরা।

 

রাঘদাইড়ের তেঘরিয়া এলাকার চাষিরা বলছেন, মৌচাষ বাড়ায় সরিষা ফুলের ভালো পরাগায়ন হয়েছে। এ কারণে সরিষা চাষে চাষিরা উৎসাহিত হচ্ছেন। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় সরিষার ফলন ভালো হয়েছে।

 

মৌচাষি ইসরাইল মুন্সি বলেন, মধুর চাহিদা ভালো। ১০ থেকে ১২ মণ মধু সংগ্রহ হয়েছে। বাজার মূল্য ভালো। প্রতি লিটার সরিষা মধু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করছি। এ চাষকে আরো স¤প্রসারিত করতে পারলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় মধু সরবরাহ করা সম্ভব।

 

মৌচাষি সুজন বিশ্বাস বলেন, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মধুর উৎপাদন ভালো হয়েছে। মাঠে সরিষার ফুল ভালো হয়েছে। ৫৪টি বাক্স থেকে ১২ মণ মধু সংগ্রহ করেছি।

 

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র বলছে, জেলায় এ বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ১৫ হাজার হেক্টর। সেখানে ১ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ বেশি হয়েছে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. শফিকুজ্জামান বলেন, এ বছর সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে। আশা করি, আগামীতে আরো ভালো হবে। সরিষা আবাদের সঙ্গে মৌচাষের একটা সম্পর্ক আছে। মৌচাষ করলে সরিষার পরাগায়ন ভালো হয়। অন্যদিকে মধুর উৎপাদনও ভালো হয়।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version