ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলাতে মিলেছে আজব এক খেজুর গাছের সন্ধান। একটি-দুটি নয় যার আছে ২২ টি মাথা। মাটিতে একটি মাত্র গাছ দাড়িয়ে থাকলেও এর কান্ড একাধিক। গাছের প্রত্যেকটি মাথায় আলাদা আলাদা সতেজ পাতা এখনও বিদ্যমান রয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর দূর-দূরান্ত থেকে আসা অনেক মানুষই গাছটিকে একনজর দেখতে ভীড় করছেন।
অন্যের থেকে ভিন্নতা মানেই তা আলাদা বা ব্যতিক্রমী। প্রকৃতির এক বিচিত্র সৃষ্টি এই খেজুর গাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায়। একেবারেই প্রত্যন্ত গ্রাম কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুরে বাগানের প্রায় শতাধিক মেহগনি গাছের মধ্যে এই ২২ মাথার খেজুর গাছটির সন্ধান পাওয়া গেছে।
এখনও জীবিত আছে ১৪টি মাথা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এ গাছটিকে একনজর দেখার জন্য দুর দুরান্ত থেকে আসছে দর্শনার্থীরা। গাছটিকে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের কথাও শোনা যায় স্থানীয়দের মুখে। এক সময় গাছটিতে ৪টি সাপ ছিল। রস আহরণ করার কারণে সেই সাপগুলো চলে গেছে। এছাড়াও মুসলিমরা মানত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ এই গাছের নিচে পূজা করেন।
এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গাছটিকে একনজর দেখতে মানুষ আসছে। একসময় রস আহরোন হলেও এখন তা আর হয় না। তবে বিশাল এই বাগানে অন্যান্য গাছ থাকলেও মালিক ব্যতিক্রমী এই গাছটি এখনও কাটেননি।
গাছটি দেখতে আসা দর্শনার্থীরা জানান, আমরা প্রথম শুনলাম একটি খেজুর গাছের ২২টি মাথা আছে। তাই দেখতে আসলাম। এমন গাছ আর কোথাও দেখিনি। একটি গাছে এখনো বহু মাথা জীবিত আছে। গাছটি দেখে খুব ভালো লাগলো।
কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মহসীন আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। এই এলাকা খেজুরের গুড় এবং রসের জন্য বিখ্যাত। এখানকার উৎপাদিত গুড় এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশেরে বিভিন্ন জাগায় বিক্রি হয়। তার মধ্যে উপজেলার কুসনা ইউনিয়নের বহরুমপুর গ্রামে দেখা মিলেছে ব্যতিক্রম একটি খেজুর গাছ। যার রয়েছে ২২টি মাথা। পূর্বে এই গাছ থেকে খেজুরের রস আহরণ করা হত। তবে এখন আর রস আহরণ করা হচ্ছে না। এই ধরনের গাছ এই জেলায় আর দেখা মেলেনি। এটি জেনিটিক্যাল ডিজঅর্ডারের কারণে এমন হতে পারে বলে মনে হয়।
গাছটির আনুমানিক বয়স প্রায় ৩০ বছর। এমন আজব গাছটির মালিক উপজেলার কুশনা ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের মৃত আবু তালেব মুন্সীর ছেলে ডাক্তার সলেমান মুন্সী।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য