টাঙ্গাইলের মধুপুরের পিরোজপুরে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে বসেছে এক তরুণী।
অনশনরত প্রেমিকাকে দেখতে স্থানীয়রা সকাল থেকেই ভিড় জমাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় উৎসুক মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার মধুপুর উপজেলার কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, পিরোজপুর গ্রামে আব্দুর রহিমের ছেলে রাকিব (২১) ঘাটাইল জিবিজি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই একই কলেজে একই শ্রেণির ঘাটাইলের জামুরিয়া ইউনিয়নের চানতারা মালিবাগ গ্রামের ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। চলে তাদের মধ্যে প্রেম। একপর্যায়ে তরুণীর এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সে রাকিবকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। এরপর থেকেই রাকিব নানা টালবাহানা শুরু করে।
কিছুদিন ধরে প্রেমিক প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে মধুপুরের পিরোজপুর বাজারের উত্তর পাশে অবস্থিত প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
মধুপুর শহর থেকে ৬ কি.মি দূরে কুড়াগাছা ইউনিয়নের পিরোজপুর বাজারের উত্তর পাশে প্রেমিকের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় করে আছে। বাড়ির গেটে একটি মেয়ে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছে। মেয়েটির সঙ্গে কয়েকজন সাংবাদিক কথা বলতে গেলে রাকিবের মা বাধা দেয়।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের অনশনরত মেয়ে জানান, সকালে ওই বাড়িতে আসলে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে দেয়া হয় এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তার হাতের আঙুলও কেটে যায় বলে তিনি জানান। এরপর থেকে বাড়ির গেটে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে অনশন শুরু করে। তার দাবি প্রেমিকের কাছে তিনি বিয়ে বসবেন।
রাকিবের বাবা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরবর্তীতে তিনি জানান, মেয়েটি বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতেই রয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়াগাছা ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুুল হক সরকার জানান, মেয়েটি ওই বাড়িতে ছিল। নিরাপত্তার জন্য আমার বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
মধুপুর থানার ওসি মাজহারুল আমিন বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনা শুনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য