অবশেষে ২১ দিন পর সেই গাছখেকো প্রধান শিক্ষক বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশের কপি হাতে পেলেন।
শনিবার সকালে মুঠোফোনে প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার জানান, নোটিশ ইস্যু হওয়ার ২১ দিন পর গত সোমবার বিকাল ৪ টায় বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশের কপি হাতে পেয়েছেন।
বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশের কপি হাতে পাওয়ার পর দৌঁড় ঝাপ শুরু করেছেন ওই প্রধান শিক্ষক। মামলা থেকে অব্যহতি পেতে বাগেরহাট থেকে শুরু করে খুলনা পর্যন্ত তদবির করছেন।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসের একজন এডিপিও মামলা থেকে রক্ষা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে হান্নান হাওলাদারকে বৃহস্পতিবার খুলনা জেলা শিক্ষা অফিসে ডেকে নেন।
হান্নান হাওলাদার মুঠোফোনে আক্ষেপ করে বলেন, আমার কিছুই করার নাই। আল্লাহর কাছে বিচার দিয়েছি যারা আমার বিরুদ্বে লেখালেখি করে আমাকে অন্যায় ভাবে হেনাস্থ করছে, তাদের বিচার তিনি করবেন। গাড়ীর নিচে পিসে মরবে তারা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মনিরুজ্জামান শনিবার দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, আমি পিয়ন দিয়ে গত সোমবার বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশের কপি প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদারের কাছে পৌছে দিয়েছি। আমি যত দূর জানি তিনি জবাবও দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ১৯ নং ভাটখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের গাছ কাটার খবর ভোরের আকাশসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার ১১৬ দিন পর তার বিরুদ্বে বিভাগীয় মামলা রুজু করেন প্রাথমিক শিক্ষা খুলনা বিভাগীয় উপ পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন ।
তাতে বলা হয়, প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদার বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মানস্থলের চারটি বৃক্ষ গাছ ও ৩/৪ টি নারকেল গাছ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে এসএমসির রেজুলেশনের মাধ্যমে কর্তন করেছেন। এরূপ কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল ) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩(খ) ও ৩ (ঘ) ধারা অনুযায়ী অসদাচরণ ও দুর্নীতির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিধায় এ বিভাগীয় মামলা রুজু করা হলো। একই সাথে প্রধান শিক্ষককে শোকজ পত্র দেওয়া হয়। শোকজে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এই খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর বিভাগীয় মামলা ও শোকজ নোটিশের কপি প্রধান শিক্ষক হান্নান হাওলাদারের কাছে পৌছে দেয় উপজেলা শিক্ষা অফিস।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য