-->

রূপগঞ্জে লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারের দখলে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
রূপগঞ্জে লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারের দখলে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক
রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচের অংশ দখলে রেখেছে লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারের বহর।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারের দখলে গাজীপুর-চট্টগ্রাম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক। ফিটনেসবিহীন এসব গাড়ির নেই হেডলাইট, লুকিং গ্লাস, এন্ট্রিকাটার। তবুও রাজপথে তারা রাজা। চলার যোগ্য নয় তারপরও চলছে এসব লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকার। তাদের কাছে কোনো গাড়িরই পাত্তা নেই। কারণ ব্রেকে পা দিতেই গাড়ি চলে যায় অন্যদিকে, গাড়ি নয় যেন মরণ ফাঁদ।

 

একটি সূত্র জানায়, এসব লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারগুলো চাঁদার বিনিময়ে দিনের পর দিন এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে বেপরোয়া গতিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

 

প্রতিদিন এসব প্রাইভেটকার থেকে শ্রমিক লীগের নামে তোলা হচ্ছে চাঁদা। চাঁদা তোলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন মাসুম ও আওলাদ নামের দুজন। প্রতিটি প্রাইভেটকার থেকে ১০০-২০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। এ ছাড়া প্রতি মাসে গুণতে হয় পুলিশ মান্তি এক হাজার টাকা। কারো চাঁদা এবং মান্তির টাকা দিতে দেরি হলেই তার গাড়িটি চলে যায় পুলিশের রেকারের হাতে। গাড়ি চলাচল নয় যেন পুলিশের টাকার গাছ।

 

এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক দিয়ে গাউছিয়া টু কুড়িল বিশ্বরোড, গাজীপুর বিশ্বরোড ও মিরের বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০০টি প্রাইভেটকার চলাচল করে। ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা এসব লক্কড়ঝক্কড় প্রাইভেটকারে যাতায়াত করছে। ব্যস্ততম এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে এসব লক্কড়ঝক্কড় গাড়ির কারণে প্রায় সময় ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব গাড়ির কারণে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজটের। ভোগান্তিতে পড়ছেন যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।

 

সরেজমিনে প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, গোলাকান্দাইল চৌরাস্তায় ভুলতা ফ্লাইওভারের নিচে সারি সারি রাখা হয়েছে এসব প্রাইভেটকার। এসব প্রাইভেটকারের কোনোটির জানালার কাচ ভাঙা, কোনোটির হেডলাইট, সিগনাল লাইট নেই। আবার কোনোটি নড়বড়ে, যেন খুলে পড়ছে গাড়ির বডির বিভিন্ন অংশ। কোনোটির রং চটেছে বহু আগেই। এদিকে এই প্রাইভেটকারে হাঁকডাকে যাত্রী উঠাচ্ছেন চালকরা।

 

মিরেরবাজার থেকে গাউছিয়া আসা প্রাইভেটকারের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এই প্রাইভেটকার দিয়ে চলাচল করা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। এটি একদিকে ব্রেক করলে অন্যদিকে চলে যায়। পুরো রাস্তা দোয়া পড়তে পড়তে এসেছি। যাত্রীরা যেন তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই সড়কে চাঁদাবাজদের ভয়ে অন্য কোনো পরিবহন চলাচল করতে পারছে না।

 

কুড়িল বিশ্বরোড থেকে আসা মনির হোসেন বলেন, আমি প্রতিদিন গাউছিয়া থেকে কুড়িল বিশ্বরোড যাতায়াত করি। বাড়ি ফিরতে হয় রাতে। ঠিকমতো বিআরটিসি বাসও পাই না। মাঝেমধ্যে রাত বেশি হলে প্রাইভেটকার দিয়ে যেতে হয়। কারণ বাড়ি আমার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাড়ারিয়া এলাকায়।

 

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশের টিআই ফারুক জানান, এসব গাড়ি আমাদের সামনে পড়লে আমরা ঠিকই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version