গুনগুনিয়া বেতাগী ‘ফুটন্ত গোলাপ একতা সংঘ’ নামের একটি সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে বদলে গেছে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের কমিউনিটি সেন্টার এলাকার কিছু কবরস্থানের সামগ্রিক দৃশ্যপট। এলাকাবাসীর গঠিত কমিটির মাধ্যমে বদলে না গেলেও একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তার পরিকল্পনায় গ্রামটির কবরস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে। বসানো হয়েছে সাইনবোর্ড।
সরকারের ক্রমাগত উন্নয়নের পাশাপাশি একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোক্তার পরিকল্পনা এখন গ্রামের রাস্তায় ল্যাম্পপোস্ট বসানো। সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, ফেব্রæয়ারি মাসের দিকে কাজ শুরু করা হবে ল্যাম্পপোস্ট বসানোর। তখন গ্রামটি রূপ নিবে শহরের। যুবক ছেলেদের এমন পরিকল্পনায় অভিভ‚ত গ্রামের বয়োবৃদ্ধরা।
জানা গেছে, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘গুনগুনিয়া বেতাগী ফুটন্ত গোলাপ একতা সংঘ’ নামের ওই সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির। প্রতিষ্ঠালগ্নের পর থেকে ধর্মীয় কাজের পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাÐে যুক্ত থাকে সমসময়। এমনকি করোনাকালে বিভিন্ন অসচ্ছল ব্যক্তিদের চাল, ডাল দিয়ে পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি।
সম্প্রতি এলাকায় ৮-১০টি মতো কবরস্থান বিভিন্ন লতাপাতায় জঞ্জালে ভরে গেলে কবরের নকশা খুঁজতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। এতে সংগঠনের একঝাঁক তরুণ উদ্যমী যুবকরা দীর্ঘ এক সপ্তাহের পরিশ্রমে জঞ্জালমুক্ত করে তোলে সেসব কবরস্থান। কবরস্থান পরিষ্কারের পাশাপাশি প্রতিটি কবরস্থানে সাইনবোর্ড স্থাপিত করে চিহ্নিত করে দেয়া হয় ওই কবরস্থানের নাম।
স্থানীয়রা বলেন, এলাকার ছেলেরা এসে পবিত্র জায়গা কবরস্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছে যেটা আসলেই প্রশংসনীয়। আমরা তাদের কাজ দেখে সত্যি অভিভ‚ত হয়েছি। এভাবে সমাজের যুবকরা উন্নয়নমূলক ও সেবামূলক কাজে জড়িয়ে পড়লে গ্রামের দৃশ্যপট পালটে যেতে শুরু করবে। সংগঠনের উদ্যোগে তারা সড়কের পাশে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। এতে আমরাও সহযোগিতা করব।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ফুটন্ত গোলাপ একতা সংঘের সভাপতি মো. আবদুস সবুর জানান, সংগঠনের যুবকরা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে বিনা পারিশ্রমিকে কবরস্থানের জঞ্জাল পরিষ্কার করেছে। এর আগেও আমরা সামাজিক বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। সামনে আমাদের বৃহৎ পরিকল্পনা রয়েছে, রাস্তার দু’পাশে ল্যাম্পপোস্ট স্থাপন করা।
এলাকাবাসীও যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে সামনে এলাকার দৃশ্য পরিবর্তন হয়ে যাবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য