ইতালিতে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে রাজশাহীর পেয়ারা। রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চাষি শাফিকুল ইসলামের বাগানের উৎপাদিত আধা টন পেয়ারা প্রাথমিক ভাবে ইতালিতে রপ্তানি করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার বাগানের পেয়ারা ছোট একটি ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, শফিকুল ইসলাম বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি গত বছর তার বাগানের উৎপাদিত ৩০ টন আম ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবছর পেয়ারা রপ্তানি করছেন। তিনি মোট ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারার চাষ করেন। তার মধ্যে ৩০ বিঘা হলো বাঘার পলাশীর চরে অবস্থিত। বর্তমানে তিনি তার বাগানের আধা টন পেয়ারা ইতালিতে রপ্তানি করার জন্য ছোট একটি ট্রাকে করে ঢাকার উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শফিকুলের পাঠানো পেয়ারা ঢাকায় কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরে কেন্দ্রীয় প্যাকেজিং হাউসে পেয়ারাগুলো মোড়কজাত করা হবে। তারপর কার্গো ফ্লাইটে এসব পেয়ারা সরাসরি ইতালিতে চলে যাবে। আগামীতে আরো বেশি পরিমাণে যেন পাঠানো যায় সেই বিষয়ে ঢাকার বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৫০ বিঘা জমিতে পেয়ারা চাষ করেছি। তারমধ্যে ৩০ বিঘার বাগানটি হলো বাঘার পলাশীর চরে। একসময় এই চরে কোনো ফসল বা সবজির আবাদ করা হতো না। আমি ইজারা নিয়ে পরিচর্যা করে আবাদ যোগ্য করে তুলেছি। বাগান করায় অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হয়েছে। বর্তমানে চরের জমিতে আম, বরই ও পেয়ারা চাষ করছি। সঠিক পরিচর্যার কারণে ভালো ফলনও পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, সাদি এন্টাপ্রাইজ নামে আমার একটি আড়ত আছে। আমার বাগানের উৎপাদিত ফল এইখান থেকেই সরবরাহ করে থাকি। আধুনিক চাষ পদ্ধতি শিখে কন্টাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে যাওয়ার কারণে বিদেশে রপ্তানির উপযোগী আম, পেয়ারা ও বরই বাঘায় উৎপাদত করছি। কৃষি অফিস থেকে যথাযথ সহযোগিতা পেয়েছি।
শফিকুল আরো বলেন, গত বছর আমার উৎপাদিত আম ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ৩০ টন পাঠিয়েছি। একইভাবে এবছর প্রথমবারের মতো বিদেশে পেয়ারা রপ্তানি করার জন্য পাঠিয়েছি। আশা করছি আগামীতে বরই রপ্তানি করতে পারবো।
বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সফিউল্লা সুলতান বলেন, এই উপজেলার চাষিরা বিদেশে রপ্তানি যোগ্য করে ফল উৎপাদন ও রপ্তানি করছেন। গত বছর এই উপজেলার আম বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আর এবছর প্রাথমিক ভাবে আধা টন পেয়ারার চালান ইতালিতে পাঠানো হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য