-->

মহেশখালীতে শিশু ধর্ষণ, চারদিন পর মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
মহেশখালীতে শিশু ধর্ষণ, চারদিন পর মামলা

সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রভাবশালী শিশু ধর্ষকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মহেশখালী থানায় অবশেষে মামলা রুজু হয়েছে। ৭ বছরের স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা ও নানা দেন-দরবার উপেক্ষা করে, দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে মহেশ খালী থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।

 

জানা যায়, গত রোববার রাত ৯টার দিকে চালিয়াতলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির ছাত্রী আশরাফ আলি নুনু মিয়ার ৭ বছরের শিশুকন্যা শ্লীলতাহানির শিকার হয়। শিশুটি দক্ষিণ চালিয়াতলি গ্রামের নিজ বাড়ির উঠনে বের হলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা পাশর্^বর্তী মুরগি ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এমরান ওই শিশুটিকে জোরপূর্বক মুরগি ফার্মে নিয়ে যায় এবং শ্লীলতাহানি করে।

 

এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে দুষ্কৃতকারীর দুলাভাইসহ প্রভাবশালীরা চাপ দিতে থাকে ভিকটিমের পরিবারকে।

 

ভিকটিমের বোন ময়না আরো জানান, দুষ্কৃতকারীর বোনজামাই চালিয়াতলীর স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীসহ কয়েকজন লোক আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য বলেন এবং এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কোনো খবর যাতে না যায় সেজন্য হুশিয়ার করে হুমকি দিয়ে যান। সেই সঙ্গে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে লাগাতার প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে।

 

এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ব্যক্তির একটি অডিও রেকর্ড় ফাঁস হলে ভিকটিমের পরিবার স্থানীয় সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসে উঠে। এরপর প্রশাসনসহ সবাই তৎপর হয়ে উঠে। ফলে গত বৃহস্পতিবার শিশুর পিতা আশরাফ আলী নুনু বাদী হয়ে ধর্ষক মোহাম্মদ এমরান, পিতা এনামুল হক বাদশাকে আসামি করে (৯) (১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাদত হোসেন জানান, দুষ্কৃতকারীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যেখানেই অবস্থান করুক না কেন শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।

 

ভোরের আকাশ/আসা

মন্তব্য

Beta version