মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় চাকরির প্রলোভন দিয়ে তরুণীর সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক আচরণ করার অভিযোগে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এদিকে অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদি হাসান। বৃহস্পতিবার ওই অভিযুক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়। মানিকগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২২ ডিসেম্বর তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। নির্ধারিত সময়ে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদন পাওয়ার পর সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদি হাসানকে বদলির আদেশ দেয়া হয়। ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদি হাসানের কাছে ওই তরুণী টিকা নিয়ে কথা বলতে যান। টিকা দেয়া হবে বলে ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর রেখে দেন মেহেদি হাসান। এরপর থেকে রাতের বেলায় ফোনে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন তিনি। প্রতি রাতে নানা কথায় অসামাজিক প্রস্তাব দিতে থাকেন। ওই তরুণী কৌশলে কথোপকথন রেকর্ড করে রাখেন। পরে রেকর্ডসহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের কথা স্বীকার করে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মেহেদি হাসান বলেন, আমি ভুল করেছি। আমাকে ক্ষমা করে দেন, এমন কাজ আর কোনো দিন করব না। ভুলবশত আমি এ কাজ করেছি। টানা ২২ মিনিটের অডিও রেকর্ডে তরুণীর সঙ্গে আপত্তিকর কথাবার্তার বিষয়টি স্বীকার করেছেন মেহেদি হাসান।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য