-->

বরিশালে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে খুন, ধর্ষণ ও চুরি

বরিশাল ব্যুরো
বরিশালে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে খুন, ধর্ষণ ও চুরি

বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জে দুই নারীর মৃতদেহ উদ্ধারসহ জেলায় গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০টি হত্যা ৩টি ধর্ষণ এবং অসংখ্য চুরি ও ডাকাতির ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকার পাতায়। যার সাথে প্রশাসনের তথ্যের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এমনকি গত ২১ জানুয়ারি এক কিশোরী নৃত্যশিল্পীকে রুপাতলী ধান গবেষনা রোডে নিয়ে গনধর্ষণ করা হয়েছে। বরিশালে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে খুন, ধর্ষণ ও চুরির মতো অপরাধমূলক কর্মকান্ড।

 

বরিশাল জেলায় ৩০ ওয়ার্ডবিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১০টি উপজেলা, ১৪টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৮৭টি ইউনিয়ন ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত বরিশাল জেলার বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় ৫০ লক্ষ। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বরিশাল জেলার মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৩১০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৩৭ হাজার ২১০ জন এবং মহিলা ১১ লাখ ৮৭ হাজার ১০০ জন। সদর উপজেলার বন্দর থানা কখনোই তথ্য দিয়ে সহযোগিতা না করলেও কোতোয়ালিসহ অন্যান্য থানা পুলিশ যথেষ্ট আন্তরিক তথ্য প্রদানের বিষয়ে।

 

সরেজমিনে গত ২৮ ও ২৯ জানুয়ারী বরিশালের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন ঘুরে চুরি ও শ্লীলতাহানির ঘটনার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ডাকাতির চেষ্টা ও গরু চুরি অভিযোগ লোকের মুখে মুখে।

 

বরিশালের সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য মাজহারুল ইসলাম কালাম খান জানালেন, আমার এলাকায় চুরির উপদ্রব অনেক বেড়ে গেছে। আমার নিজের বাড়ি থেকেও গরু চুরি হয়েছে। তিনদিন আগে প্রতিবেশীর গোয়াল ঘরের সব গরু নিয়ে গেছে চোর। এর আগে আরো দুই প্রতিবেশী একই অভিযোগ নিয়ে এসেছেন।

 

একই অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ও চন্দ্রমোহন, চরকাউয়া ইউনিয়ন থেকেও। সদর উপজেলায় বেড়েছে ধর্ষণের ঘটনা। বরিশালের সিটি করপোরেশন এলাকা নিয়ে মারামারি, হত্যা চেষ্টা মাদকের আগ্রাসন নিয়ে প্রতিদিনই কিছু না কিছু সংবাদ পত্রিকা পাতার শোভা বাড়াচ্ছে। সাথে আছে বাবুগঞ্জ, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জের চিত্র। তবে এসব অভিযোগ মুক্ত বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝারা থানা।

 

দুটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গত তিনমাসে সেখানে চুরি ও নারী নির্যাতনের কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়নি।

 

তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, এখানকার ভুক্তভোগীরা থানা ও প্রশাসন এড়িয়ে চলেন। তা না হলে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হতে হয়।

 

সরেজমিনে জানা গেছে, এ অঞ্চলের বিএনপির নেতৃবৃন্দ নিজদের কমিটির নামই প্রকাশ করতে সাহস পায়না হামলা মামলার ভয়ে। তাই সাধারণ মানুষ কেউ কোনো অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনের কাছে যেতে সাহসী হয় না। অভিযোগ পেলেই হয়তো বলবে বিএনপির লোক তারা।

 

তাই এখানে সবাই আওয়ামী লীগের সমর্থক। নির্দিষ্ট নেতা ছাড়া এই অঞ্চলে কোনো বিএনপির অস্তিত্ব নাই।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য

Beta version