জামালপুরের ইসলামপুরে দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইক। প্রতিনিয়ত যানজট বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করার ফলে পাল্লা দিয়ে ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
উপজেলার ইসলামপুর-জামালপুর রোডসহ আনাকে-কানাচে অসংখ্য ইজিবাইক চলাচলের ফলে প্রতিনিয়তই যানজট সৃষ্টির পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। ইজিবাইকের দৌরাত্ম্যে ও চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের ফলে বড় যানবাহনের চালকরা বিরক্ত বোধ করছে। ইজিবাইক চালকদের বেপরোয়া চালানোর কারণে দুর্ঘটনায় বিগত দিনে পথচারীর মৃত্যুও হয়েছে।
এ উপজেলায় প্রায় ৪৫টি পয়েন্টে প্রায় ২ হাজার ইজিবাইক চলাচল করছে। এসব ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে অধিক বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে। অধিকাংশ চোরাই লাইনের মাধ্যমে ব্যাটারি চার্জ করায় যেমন বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে ঠিক তেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকারের পিডিবি ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
যেখানে সরকার বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎসেবা দিতে বদ্ধপরিকর সেখানে চোরাই লাইনের মাধ্যমে এসব ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতেই অনেকেই ব্যস্ত। এতে বিদ্যুতের প্রচুর ঘাটতিসহ লোডশেডিং দেখা দেয়। এসব ইজিবাইকের ক্রয় মূল্য কম থাকায় সহজেই কেনা যায়। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলো চালাচ্ছে রিকশা-ভ্যান চালকেরা। ইজিবাইকের দ্বারা সৃষ্ট যানজটের কারণে ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে লাগছে ৩০ মিনিট।
ট্রাকচালক সাধু মিয়া জানান, ইজিবাইকের কারণে বড় বাজার পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। সরকারের কোনো ধরনের অনুমোদন/বাধ্যবাধকতা না থাকার ফলে বালক থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত এখন ঝুঁকে পড়েছে ইজিবাইকের দিকে।
ইজিবাইক চালক বেলাল মিয়া জানান, আগে এই এলাকায় ইজিবাইক কম ছিল। রাস্তায় তেমন যানজট ছিল না। ইজিবাইকের কারণে রিকশা-ভ্যান চালকরা যেখানে আগে ৫০০-৬০০ টাকা প্রতিদিন রোজগার হতো সেখানে এখন ২০০-২৫০ টাকা আয় করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। এখন প্রতিটি মোড়ে মোড়ে যানজটে আমাদের রোজগার কমে গেছে।
কলেজপড়ুয়া নুসরাত জাহান জানান, ইজিবাইকের কারণে কলেজে যেতেও অনেক বিলম্ব হয়। আমাদের ছোট্ট এ শহরে আয়তনের তুলনায় অধিক ইজিবাইক হওয়ায় প্রতিনিয়ত পথ চলতেও সমস্যা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানভীর হাসান রুমান বলেন, দিন দিন বেড়েই চলেছে ইজিবাইক। কিন্তু আমাদের শহরের আয়তন তো দিন দিন বাড়ছে না। শহরের বাইরে কয়েকটি পয়েন্টে স্ট্যান্ড করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে কিছুটা হলেও যানজট মুক্ত হওয়াসহ পথচারীদের চলাচলে সুবিধা হবে।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য