পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলায় মাত্র ১০ হাজার টাকার চুক্তিতে কামরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি হত্যা করা হয়েছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকান্ড ঘটান তারই চাচা সাইফুল ইসলাম। গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়।
পঞ্চগড় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা।
এর আগে, নিখোঁজের তিন দিন পর চা বাগানের পরিত্যক্ত ড্রেন থেকে কামরুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কামরুল তেঁতুলিয়া উপজেলার তিরনইহাট ইউনিয়নের যুগিগছ এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে।
পুলিশ সুপার জানান, ভাতিজাকে হত্যা করতে দিদার আলী এবং নজিবুল হক নামের দুইজনকে মাত্র ১০ হাজার টাকায় ভাড়া করেন চাচা সাইফুল ইসলাম। পরে সেখানে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যান হত্যাকারীরা।
জানা গেছে, গত ২৩ জানুয়ারি কামরুল নিখোঁজ হন। দুইদিন ধরে তার খোঁজ না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি তার ছোট ভাই কাবুল হেসেন তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ওই দিনই বিকেলে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকার করতোয়া নদীর ধারে একটি চা বাগানের নালা থেকে কামরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/২৫ জনের নামে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরদিন ঘটনার সাথে জড়িত দিদার আলী নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
পরে পার্শ্ববর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যতম সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলার আরেক আসামি নজিবুল হক এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য