-->
শিরোনাম

বাউফলে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন হচ্ছে বালু

বাউফল প্রতিনিধি
বাউফলে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে উত্তোলন হচ্ছে বালু
এভাবে চরের তলদেশ থেকে বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে চক্রটি

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার মমিনপুর চরের তলদেশ থেকে বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে একটি বালুখেকো চক্র।

 

ওই চক্রের প্রধান হোতা হচ্ছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। তার নাম মো. শাহজাহান গাজী। তিনি উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর মমিনপুর) ইউপি সদস্য। ওই বালুখেকো চক্রের অপর সদস্যরা হলো মেম্বারের আপন দুই ভাই ও এক ভাইয়ের ছেলে। অবৈধভাবে এ বালু উত্তোলনের কারণে চরের শুরু হয়েছে ভাঙন। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান গাজী ও তার ভাই মো. কাশেম গাজী, মো. আফজাল গাজী ও ভাইয়ের ছেলে রাব্বী গাজীসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুরের মমিনপুর এলাকায় অবৈধ বালুর ব্যবসা করছে। চক্রটি মমিনপুরের চরাঞ্চল, খালবিল, পুকুর ও ডোবার তলদেশ থেকে নিষিদ্ধ বোম ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে।

 

ওই বালু স্থানীয় বসতবাড়ি নির্মাণ, নিচু জমি ভরাট ও রাস্তা নির্মাণ কাজে চড়া দামে বিক্রি করে। অবৈধ বালু বিক্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছে মেম্বার পরিবার। মমিনপুর ও বরিশালে তাদের রয়েছে আলিশান বাড়ি। এছাড়াও বরিশাল ও এলাকায় গড়ে তুলেছে একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য।

 

সরেজমিন কেশবপুরের উত্তর মমিনপুর চরে গিয়ে দেখা গেছে, স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার দিয়ে চর কেটে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। উত্তোলনকৃত বালু পাইপের মাধ্যমে পাশের একটি ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছবি তুলতে গেলে ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজীর ভাই আফজাল গাজী ও ভাইপো রাব্বী সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, ছবি তুলে নিউজ করলেও কিছু হবে না?

 

এদিকে মমিনপুর চরের ছোট খাল থেকে বালু উত্তোলন করায় চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকিতে পড়েছে ফসলি জমি। তবে ওই প্রভাবশালী মেম্বার পরিবারের ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না।

 

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, ‘মেম্বার ও তার ভাইয়েরা মেশিন দিয়া বালু তোলে। আমাগো জমি নষ্ট হয়। হ্যার পরেও কিছু বলতে পারছি না।’

 

অবৈধ বালু উত্তোলনের বিষয়ে অস্বীকার করেন ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী। তিনি বলেন, আমি এর সঙ্গে জড়িত নই। আমার ভাই কাশেম গাজী ও তার ছেলে রাব্বী বালুর ব্যবসা করে। সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টাও করে ওই ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী।

 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version