ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে

সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

পিরোজপুর প্রতিনিধি
সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার পিরোজপুরে মানববন্ধন ও সমাবেশ আয়োজন করা হয়

সময় টিভির বার্তা প্রধান ও রংপুর ব্যুরো প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বিরুদ্ধে পিরোজপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সারাদেশের বিভিন্ন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করার প্রতিবাদ তুলে ধরা হয়।

 

পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় শহরের প্রেসক্লাব রোডে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন।

 

প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক জনকন্ঠের পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল হক মিঠু। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সময় টিভির পিরোজপুর রিপোর্টার জিয়াউল হক। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভির আহমেদ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ও বাংলা টিভির প্রতিনিধি ইমাম হোসেন মাসুদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সংবাদের পিরোজপুর প্রতিনিধি এ কে আজাদ, দৈনিক আমাদের সময় এর সাংবাদিক খালিদ আবু, সাংবাদিক হাসান মামুন, দেশ টিভির সাংবাদিক হাসিবুল ইসলাম হাসান সহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকবৃন্ধ।

 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কিত সাবেক ভিসি ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর আমলে সংঘটিত কিছু অপকর্মের বিচার চাওয়ায় দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন কলিমুল্লাহ চক্রের প্রভাবশালী সদস্য উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক। পরবর্তীতে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সামসুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্তে কমিটি গঠন হয়।

 

অথচ এই তদন্ত কমিটি গঠনের খবর স্ক্রলে প্রচারের অপরাধে সময় সংবাদের বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ ও রংপুর ব্যুরো রিপোর্টার রতন সরকারের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করেন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হক। এর মানে হলো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন তারা।

 

শুধু তাই নয়, পুলিশ দিয়ে মুজতবা দানিশের ঠিকানা যাচাইয়ের নামে হয়রানী করা হচ্ছে।

 

বক্তারা বলেন, বলা হয়েছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাগরিককে সুরক্ষা দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা এখন দেখছি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধেই শুধু এই আইন ব্যবহার হয়।

 

সেখানে আমরা এখন দেখছি সাংবাদিকদের হেনস্তা করার অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠেছে এই ডিজিটাল আইন। এ জন্য সমাবেশে বক্তারা এই আইন পরিবর্তনের দাবি জানান।

 

ভোরের আকাশ/নি

মন্তব্য