ব্লগস্পটে শেয়ার করুন
বগুড়ায় ছাত্রলীগের দু’জন কর্মীসহ একই সঙ্গে পাঁচজনকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে শহরের রেলওয়ে আদর্শ হকার্স মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ছুরিকাঘাতে আহতরা হলেন বগুড়ার শাজাহানপুরের চকদোহার এলাকার মৃত অজির আকন্দের ছেলে মো. বাসেদ, হোটেল ব্যবসায়ী সেউজগাড়ী এলাকার বাছেদ মন্ডলের ছেলে রিয়াদ মন্ডল, পৌর ছাত্রলীগ কর্মী সেউজগাড়ী এলাকার মো. রাজিবের ছেলে সামিত সামিউল ও মো. বাবুর ছেলে বাপ্পি ও চকসূত্রাপুর এলাকার হজরত আলীর ছেলে মো. রাশেদ।
সামিত সামিউল ও বাপ্পি এবার বগুড়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে রিয়াদ মন্ডলের অবস্থা গুরুতর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়ির উপরিদর্শক রুবেল সরকার।
পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে করে হকার্স মার্কেটের গেটে আসে। এ সময় তারা বাছেদকে মারধর শুরু করে। দুর্বৃত্তদের বাধা দিতে গিয়ে বাকি চারজন আহত হয়েছে।
ছুরিকাহত ছাত্রলীগ কর্মী সামিত সামিউল জানান, ৪টি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত হকার্স মার্কেটের সামনে আসে। মদ্যপ অবস্থায় তারা বাছেদকে মারধর শুরু করে। এ সময় তিনি বন্ধু বাপ্পিকে নিয়ে বাধা দিতে গেলে তারাও ছুরিকাঘাতের শিকার হন।
তিনি আরো জানান, দুর্বৃত্তদের হাতে চাইনিজ কুড়াল, এসএস পাইপ ও কিরিচসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ছিল। ঘটনার সময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে আরো বেশ কয়েকজন মারধরের শিকার হয়।
বগুড়া পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাকিবুল হাসান বলেন, সামিউল ও বাপ্পি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে তারা আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করছি।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য