-->
শিরোনাম
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ

খালেদ আহমদ, সিলেট

সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার কমেছে, বেড়েছে জিপিএ

খালেদ আহমদ, সিলেট: ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮১.৪০ শতাংশ। এই বোর্ড থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ৮৭১ জন। এক লাফে বোর্ডে পাসের হার কমেছে ১৩.৪০ শতাংশ। ২০২১ সালে সীমিত সিলেবাসে এইচএসসি পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। তখন সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ ভাগ। ফলাফলের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ৯টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে এবার ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে সিলেট বোর্ড।

 

বুধবার দুপুরে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলণের মাধ্যমে এই ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ড সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ। এসময় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পালসহ শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবছর সিলেট শিক্ষাবোর্ড থেকে ৬৬ হাজার ৪৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৫৪ হাজার ১২২ জন।

 

পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ। এই বিভাগের ৯০.৫০ শতাংশ পাস করেছে। এছাড়া ব্যবসা শিক্ষায় ৮০.২৩ শতাংশ ও মানবিকের ৭৯.১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক দিয়েও এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগ। বিজ্ঞানে ৩ হাজার ৩৩৩ জন, মানবিকের ১ হাজার ২৬ জন ও ব্যবসা শিক্ষার ৫১২ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

 

জেলা ওয়ারি ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সিলেট জেলা। এই জেলায় পাসের হার ৮৬.৪৮ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৬৯ জন। হবিগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.২৭ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৩৪ জন। মৌলভীবাজার জেলায় পাসের হার ৭৪.৯১ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৭৯ জন। সুনামগঞ্জ জেলায় পাসের হার ৮২.৮৫ শতাংশ ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৮৯ জন। পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা।

 

মেয়েরা ৮২.৬১ শতাংশ ও ছেলেরা ৭৯.৬১ শতাংশ পাস করেছে। গত বছরের তুলনায় সিলেটে এবার পাসের হার কমেছে। গতবছর পাসের হার ছিল ৯৪.৮০ শতাংশ। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫। গতবছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৪ হাজার ৭১৯ জন। সিলেটে এবার শতভাগ পাস করেছে ১১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তবে শতভাগ ফেল কোনো কলেজ নেই।

 

এবারের ফলাফল সন্তোষজনক উল্লেখ করে সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. কবির আহমদ বলেন, গত পরীক্ষার আগে সিলেটে ভয়াবহ বন্যা ছিল। এছাড়া করোনার কারণে ঠিকমতো ক্লাসও হয়নি। এসব বিবেচনায় এবারের ফলাফল সন্তোষজনক।

 

তিনি বলেন, গত দুইবছরের ফলাফলের সঙ্গে এবারের ফলাফল তুলনা করলে চলবে না। কারণ গতবছর সীমিত কয়েকটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। আর তার আগের বছর অটোপাস দেয়া হয়েছে। তাই ফলাফলের তুলনা করতে হবে ২০১৯ সালের সঙ্গে। ওই বছর পাসের হার ছিল ৬৭.০৫ শতাংশ।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version