-->

ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে ফুলচাষিদের ব্যস্ততা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
ভালোবাসা দিবস ও ২১ ফেব্রুয়ারি ঘিরে ফুলচাষিদের ব্যস্ততা
সিরাজগঞ্জ সদরের একডালা গ্রামে বাগানে শোভা ছড়াচ্ছে গোলাপ

আসছে ভালোবাসা দিবস, পহেলা ফাল্গুন এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা। এই দিবসগুলোকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষিরা বাজার ধরতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এ বছর চাষিরা ভালো মুনাফার আশা করছেন।

 

ফুলচাষে বেশি লাভ হওয়ায় প্রতি বছর ফুল বাগানের সীমানা বাড়াতে ব্যস্ত প্রান্তিক ফুল চাষিরা। তবে তাদের মতে, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরো লাভবানসহ আর্থিকভাবে সচ্ছল হবে।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ফুল চাষিদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের ফুল চাষি শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর তারা দশ বিঘা জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেছেন। এতে তাদের প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার এই তিন দিবসে প্রায় ছয় লাখ টাকার ফুল বিক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করেছেন তিনি।

 

তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে অগ্রিম টাকা দিয়ে ফুলের অর্ডার দিয়ে গেছেন। সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের অনেক কৃষকই ধান, পাটসহ অন্যান্য ফসলের চাষ বাদ দিয়ে এখন ফুল চাষ শুরু করেছেন। তাদের উৎপাদিত গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাঁদা, বেলী, জবা, সূর্যমুখী, ডালিয়া, হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, টগরসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রাজধানীসহ সারা দেশেই যাচ্ছে। তবে সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকলেও বসন্ত, ভালোবাসা দিবস, শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে ব্যাপকভাবে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায়। 

 

সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামের ফুল চাষি গোলবার হোসেন জানান, এ বছর তিনি দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছেন। এতে তার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। তার যে ফলন হয়েছে তাতে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

 

তিনি জানান, বর্তমানে তার বাগানে গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা, বেলী, হাসনাহেনা, মল্লিকা. চন্দ্রমল্লিকা, গাদা, চাইনিজ গোলাপ, সূর্যমুখীসহ বিভিন্ন জাতের ফুল রয়েছে। এ বছর চারা ভেদে প্রতিটি গাদা ২০ টাকা, গোলাপ ৮০ টাকা, জবা ২৫ টাকা, বেলী ২৫ টাকা, হাসনাহেনা ৩০ টাকা, ডালিয়া ৪০ টাকা, সূর্যমুখী ৫০ টাকা বিক্রি করছেন।

 

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত বলেন, তিন দিবস উপলক্ষে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকা এবং করোনা না থাকায় ফুল চাষিরা এবার ভালো দাম পাবে বলে আশা করছেন। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জের ফুলের মানও বেশ ভালো। সিরাজগঞ্জের ফুলের চাহিদা রাজধানীসহ সারা দেশেই রয়েছে। প্রতিনিয়তই ফুল চাষের বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং ফুল চাষে উৎসাহ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।

 

তিনি বলেন, আমরা কৃষকদের ফুল চাষে আগ্রহী করতে চেষ্টা করছি এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এতে করে সিরাজগঞ্জে প্রতি বছরই ফুল চাষির সংখ্যা বাড়ছে।

 

 

 

মন্তব্য

Beta version