-->
শিরোনাম

অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ছড়াছড়ি ভালুকা মহাসড়কে

জাহাঙ্গীর আলম, ময়মনসিংহ
অবৈধ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের ছড়াছড়ি ভালুকা মহাসড়কে
ছবিটি ভালুকার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি থেকে তোলা

জাহাঙ্গীর আলম, ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের শিল্পাঞ্চল ভালুকা এখন নিষিদ্ধ যানবাহনের শহরে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কজুড়ে পুলিশের নাকের ডগায় দাপিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইক ও শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমন-করিমন। উচ্চ আদালতের রায় ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ কিছুই মানা হচ্ছে না। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা।

 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মহাসড়কে নছিমন-করিমন নামে অটোরিকশাসহ তিন চাকার সব ধরনের যানবাহন চলাচল হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হলেও ময়মনসিংহের ভালুকায় এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের রহস্যজনক নীরবতার কারণে তাদের নাকের ডগায় এসব যানবাহন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দাপটের সঙ্গেই চলছে।

 

বিশেষ করে ভালুকা বাসস্ট্যান্ড, সিডস্টোর বাসস্ট্যান্ড ও মাস্টারবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। পুলিশের সামনেই এসব তিন চাকার যান চলছে এবং দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে।

 

সূত্র জানায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা অংশে অন্তত দুই হাজার নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল করছে। এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বেড়ে গেছে। ফলে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরকারের রাজস্ব হারানো ছাড়াও সংযোগ থেকে অগ্নিকাÐের মতো ঘটনাও ঘটছে।

 

পথচারী আমিনুল হক নামে একজন জানান, তিনি মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার জন্য যখন মহাসড়কে আসেন, তখন প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার জটলার কারণে। ফাহাদ নামে আরেকজন জানান, ভালুকা মহাসড়ক বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচরাস্তা ও গফরগাঁও সড়কে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে এসব অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহনের কারণে।

 

ব্যাটারিচালিত এক মিশুকচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তার বাড়ি পাশের ত্রিশাল উপজেলায়। ভালুকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে ৪৫০ টাকায় ব্যাটারিচালিত অটো ভাড়া নিয়ে মহাসড়কসহ পৌর এলাকায় যাত্রী আনা-নেয়া করে থাকেন। পুলিশ ধরে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুলিশের সঙ্গে মহাজনের চুক্তি রয়েছে, তাই পুলিশ ধরে না। আর যদি ধরেও, তাহলে মহাজনকে জানালে তিনি ছাড়িয়ে আনেন।

 

ভালুকার ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ বলেন, মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত এসব অবৈধ ও নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচলে হাইওয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিনই এসব যানবাহন আটক করে আইনের আওতায় নেয়া হচ্ছে। অবৈধ সব ধরনের যানবাহন মহাসড়কে চলাচল বন্ধ করতে চেষ্টা করছি।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version