ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের কাশিপুর বেদে পল্লীতে এক পক্ষের হামলায় ১০টি বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এসময় হামরাকারীরা কমপক্ষে ৮ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। আহতরা মধ্যে সেলিনা বেগম ও কায়েশ নামে দু’জনকে আশংকাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাশিপুর বেদেপল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, দির্ঘদিন ধরে বেদেপল্লীর দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এর মধ্যে একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে মনিরুল ইসলাম এবং আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাসেল হোসেন। শনিবার সকালে রাসেল গ্রুপের লোকজন মনিরুল গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় মনিরুল গ্রুপের নারী-পুরুষকে পিটিয়ে জখম করে।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যা রাতে বেদেপল্লীর দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪৮) নিহত হয়। নিহত আরিফুল ইসলাম বেদেপল্লীর রাসেল গ্রুপের নেতৃত্ব দিত। আরিফ হত্যার পর থেকে বেদেপল্লীতে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছে।
গত আড়াই মাসে একাধিকবার হামলা ও একাধিক মামলার ঘটনা ঘটেছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেদে পল্লীর দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। এরমধ্যে একপক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে মনিরুল ইসলাম এবং আরেকটি পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাসেল হোসেন। সকালে রাসেল গ্রুপের লোকজন মনিরুল গ্রুপের লোকজনের উপর হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এসময় মনিরুল গ্রুপের নারী-পুরুষকে পিটিয়ে জখম করে।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেসময় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করা হয়।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য