নওগাঁয় পুকুর খননে মিলল প্রায় ৩৬ কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের রাধাকৃঞ্চ ঠাকুরের মূর্তি। গত শুক্রবার রাতে জেলার ধামইরহাট উপজেলার উমার ইউনিয়নের কুলফৎপুর গ্রাম থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে পুলিশ। বর্তমানে প্রাচীন মূর্তিটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং সেটি আদালতের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে গত ২ সপ্তাহে মোট তিনটি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।
ধামইরহাট থানার ওসি মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, চাঁনকুড়ি গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে উমার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম হেলাল তার নিজ দখলীয় কুলফৎপুর গ্রামের মাঠে পুকুর সংস্কারের জন্য ভেকু মেশিন দিয়ে খনন কাজ শুরু করে। গত শুক্রবার রাত ৯টায় মাটি খননকালে একটি কষ্টিপাথরের রাধাকৃঞ্চ ঠাকুরের মূর্তি দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ধামইরহাট থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ধামইরহাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
৪৯ কেজি ওজনের নারায়ণ ঠাকুরের মূর্তিটির দৈর্ঘ্য ৩৪ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১৫ ইঞ্চি, যার মূল্য প্রায় ৩৬ কোটি টাকা। ধারণা করা হচ্ছে অতি প্রাচীন এ মূর্তি হিন্দু সম্প্রদায়ের দেবতা ছিল। আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক মূর্তিটি হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে পুকুর খননকালে আরো একটি মূর্তি উদ্ধার করে পুলিশ এবং পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ করে রাখার সময় আরো একটি মূর্তি উদ্ধার করে র্যাব। উদ্ধার হওয় তিনটি মূর্তিই ধামইরহাট থানা হেফাজতে রয়েছে বলে থানার ওসি জানান।
ভোরের আকাশ/আসা
মন্তব্য