-->
শিরোনাম

মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন: দামে খুশি চাষিরা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন: দামে খুশি চাষিরা
মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

মানিকগঞ্জে পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশে প্রথম স্থানে রয়েছে। এই জেলায় তিন ধরনের পেঁয়াজ চাষ হয়। একই জমিতে দুই বার পেঁয়াজ আবাদ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে জানায় কৃষি বিভাগ। এ জেলায় উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশজুড়ে সরবরাহ করা হয়। চলতি মৌসুমেও বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় মানিকগঞ্জ পেঁয়াজ চাষিদের মুখে ফুটেছে হাসি।

 

জানা যায়, এ মৌসুমে উচ্চ ফলনশীল জাতের লালতীর কিং, বারি পেঁয়াজ-১, বারি-৪ পেঁয়াজসহ দেশি জাতের পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এসব জাতের পেঁয়াজের সাদ গন্ধ হুবহু দেশি পেঁয়াজের মতো। এ ছাড়া কৃষকরা এসব জাতের পেঁয়াজের বাজার মূল্য ভালো পায় এবং এটির সংরক্ষণ করতেও বেশ সুবিধা। মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজের ক্ষেত। ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলছেন কিছু কৃষক।

 

আর সেই পেঁয়াজের পাতা ছাড়িয়ে বিক্রি উপযোগী করছেন কৃষাণি ও পরিবারের ছোটো ছোটো ছেলে-মেয়েরা।

 

পেঁয়াজ চাষি রফিকুল বলেন, আমি ১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আল¬াহ্ তায়ালার রহমতে অনেক ভালো ফলন হয়েছে, দামও ভালোই পাচ্ছি। আমার এ বছর প্রতি শতাংশ জমিতে প্রায় আড়াই মণ পেঁয়াজ হয়েছে।

 

আরেক পেঁয়াজ চাষি সালাম বলেন, আমি এ বছর প্রায় সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে লালতীর কিং জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি। যা থেকে প্রায় ১৩৫ থেকে ১৫০ মণ পেঁয়াজ পাওয়ার পাশাপাশি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব বলে আশা করছি।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় জেলায় পেঁয়াজের ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

 

পেঁয়াজ চাষ সফল করতে কৃষকদের বিভিন্নভাবে পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকার কারণে পেঁয়াজের কোনো ক্ষতি হয়নি। ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version