-->
শিরোনাম

রেণু পোনা ও মাদক কারবারিদের নিরাপদ রুট শরীয়তপুরের গোসাইরহাট

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
রেণু পোনা ও মাদক কারবারিদের নিরাপদ রুট শরীয়তপুরের গোসাইরহাট

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলা সদরের পট্রি ব্রিজ এলাকা এখন রেণু পোনা পাচার আর মাদক কারবারিদের নিরাপদ আস্তানা। গোসাইরহাটের পট্রি ব্রিজ থেকে বুড়িরহাট পর্যন্ত রুটে প্রতিরাতে পাচার হচ্ছে লাখ লাখ টাকার রেণু পোনাসহ মাদক।

 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাত ১টা থেকে ২টার মধ্যে পট্রি ব্রিজের নিচে খেয়াঘাটে রেণু পোনাভর্তি ট্রলার ভিড়ে এবং স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র নিজেরা নিরাপত্তার পাহারা বসিয়ে রেণু পোনাভর্তি ড্রাম ট্রাকে অথবা পিকআপে তুলে দেয়। নিরাপদ রুটে নির্বিঘ্নে তা বুড়িরহাট হয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলার কানার বাজার এবং মনোহর বাজার রুট দিয়ে দেদার পাচার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ চিংড়ি রেণু পোনা ও মাদক।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, ভোলা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটা, বরিশাল থেকে ট্রলারযোগে আসা নদী ও সাগরের নিষিদ্ধ রেণু পোনা মিনি কাভার্ডভ্যান, ট্রাক ও পিকআপে করে প্লাস্টিকের ড্রাম, কলসি ও ককসিটের ভেতর সুকৌশলে ভরে পাচার হচ্ছে চিংড়ি রেণু পোনা ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন নেশা দ্রব্য। অধিকাংশ রেণু পোনা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায়।

 

মাদক ও নিষিদ্ধ রেণু পোনা চোরাকারবারিদের কাছে গোসাইরহাট হয়ে উঠেছে নিরাপদ রুট।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিংড়ি রেণু পোনা ব্যবসায়ী ও আহরণকারীরা বলেন, বিভিন্ন আড়ত মালিকদের কাছ থেকে চিংড়ি পোনা দেয়ার জন্য দাদন নিয়ে পোনা সংগ্রহ করেন তারা। সাগর ও নদী থেকে পোনা ধরা নিষেধ থাকলেও প্রশাসনকে রাজি খুশি করে চিংড়ি পোনা ধরা হয়।

 

পুলিশ ও কোস্টগার্ডসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরকে রাজি খুশি করে রাতের আঁধারে এ রেণু পোনা পাচার করা হয়। গোসাইরহাট পুলিশ প্রশাসনের কিছুটা নমনীয় আচরণে মাদক চোরাকারবারিরা চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ীর ছদ্দবেশ বেছে নিয়েছে বলেও স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

 

এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ওসি মো. আসলাম সিকদার মুঠোফোনে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। কেউ অবৈধভাবে এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/নি 

মন্তব্য

Beta version