‘বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যেতে যে রূপকল্পের কথা বলা হয়েছিল, আমরা তা বাস্তবায়নে সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা ইতোমধ্যে সফলতা অর্জন করেছি। আজকে বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে তা ভারত, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে।’
শনিবার দুপুর ১২টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি ও তৃতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে সোনার বাংলা গড়ার জন্য যে রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জলবায়ু প্রতিরোধের জন্য আমরা ১০০ বছরের একটি পরিকল্পনা নিয়েছি। তথ্য ছাড়া কখনোই পরিকল্পনা করা যায় না, আর এক্ষেত্রে পরিসংখ্যানের ভ‚মিকা অপরিসীম।
পরিসংখ্যানের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় পরিকল্পনার ক্ষেত্রে। সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন তথ্য বিপ্লব ছাড়া সম্ভব নয়। আর তা করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় পরিসংখ্যানের। তাই পরিসংখ্যানকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এই পরিসংখ্যান বিভাগ শুধু গবেষক তৈরি করেছে তা নয়, রাজনীতিবিদও তৈরি করেছে। বিজ্ঞানের উদ্দেশ্য হলো জীবনের অন্ধকার দূর করা।
বিজ্ঞানকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, তা হলো পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। রোবোটিক, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইত্যাদি নিয়ে কাজ করতেও পরিসংখ্যান প্রয়োজন।
উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজশাহী ইউনিভার্সিটি স্ট্যাটিসটিক্স আ্যলামনাই আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী খান, রুসার প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ সোহরান উদ্দীন, রাবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সুলতান-উল ইসলাম, স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহব্বায়ক প্রফেসর ড. এম ছায়েদুর রহমান এবং বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/নি
মন্তব্য